আপত্তিকর অবস্থায় ধরা, শিক্ষক বললেন ছাত্রী আমার দ্বিতীয় স্ত্রী

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৯, ০৯:১৪ পিএম

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার আমড়াগাছিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া শিক্ষক মাহফুজুর রহমান প্রিন্স সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হন। পরে তাকে গণধোলাই দেন জনতা। এই ঘটনার পর ওই শিক্ষক বলেন, ওই ছাত্রী আমার দ্বিতীয় স্ত্রী।

ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে সড়ক অবরোধ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।এ সময় অভিভাবকসহ স্থানীয় শত শত মানুষ শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে অংশ নেয়। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহফুজুর রহমান প্রিন্সের বহিষ্কার দাবি করে তারা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। পরে স্কুল পরিচালনা কমিটি জরুরি সভা ডাকে। সভায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে দুপুরে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি তুলে নেয়।

শরণখোলা আমড়াগাছিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক মাহফুজুর রহমান প্রিন্স সোমবার দুপুরে এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হন। পরে তাকে গণধোলাই দেন জনতা।

খবর পেয়ে শরণখোলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষক প্রিন্সকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে। পরে ওই ছাত্রীসহ তাকে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মেয়ে পক্ষের কোনো অভিযোগ না থাকায় প্রিন্সকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় সাধারণ মানুষ চরম ক্ষুব্ধ হয়। তাদের দাবি চরিত্রহীন কোনো ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে থাকতে পারবে না। এ কারণে ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সবাই। ওই শিক্ষকের বহিষ্কারসহ সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানায় তারা। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এর আগে ওই শিক্ষককে দুইবার বহিষ্কার করা হয় বলে জানান স্কুল ম্যানেজিং কমিটি সদস্যরা।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বলেন, শিক্ষক মাহফুজুর রহমান প্রিন্স একজন চরিত্রহীন শিক্ষক। তার কাছে কেউ নিরাপদ নয়। তার মতো শিক্ষক থাকলে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হবে। তার এমন কর্মকাণ্ডের বিচার ও স্থায়ী বহিষ্কারে দাবি জানাই আমরা।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ ঝাড়ু হাতে নিয়ে আমড়াগাছিয়া বাজারের সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করে। সেই সঙ্গে ওই শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি করে বিক্ষোভ করতে থাকে তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বলেন, শিক্ষক প্রিন্সের স্ত্রী-সন্তান থাকতেও এভাবে একের পর এক অপকর্ম ঘটিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে আমাদের চিন্তায় থাকতে হয়। তার মতো চরিত্রহীন শিক্ষক এই বিদ্যালয়ে থাকলে আমাদের মেয়েদের অন্য বিদ্যালয়ে নিয়ে যাব। আমরা তার বিচার চাই।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: