এ্যাম্বুলেন্স ভর্তি মদ

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৯, ০৬:৪০ পিএম

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এ্যাম্বুলেন্স থেকে ৩৫ কন্টিনারে প্রায় হাজার লিটার মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় চালক শহীদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

তবে এসব মদ বৈধ দাবি এ্যাম্বুলেন্স ছাড়িয়ে নিতে সুপারিশ করেছিল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অধিদপ্তরের পরিদর্শক চন্দন গোপাল সুর বলে জানিয়েছেন মুক্তাগাছা থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে মদের কন্টিনারে ঢাসা এমনই একটি এ্যাম্বুলেন্স আটক করেছে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ।
 
এ সময় এ্যাম্বুলেন্সের চালক শহীদুল ইসলাম (৩৫) কেও আটক করে পুলিশ। আটকের পর চালক শহীদুল ইসলাম বলেন, ময়মনসিংহ থেকে ১০০০ লিটার বাংলা মদ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পোড়াপাশা গ্রামে নিয়ে যাচ্ছিল। সেখানকার মো. রনি মিয়া নামে একজন ওই মদের মালিক। 

মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহমেদ মোল্লা জানান, দুপুরের দিকে দিকে ময়মনসিংহ থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্স টাঙ্গাইলের দিকে যাচ্ছিল। মুক্তাগাছা শহরে পৌছালে এসআই আলী আজহারের নেতৃত্বে থাকা একদল পুলিশের সন্দেহ হলে সেটি আটক করে।

পরে তল্লাশি করলে রোগির বদলে ভেতরে দেখা মেলে ৩৫টি প্লাস্টিকের কন্টিনার। প্রত্যেকটি কন্টিনারে পাওয়া যায় বাংলা মদ। পরে পুলিশ সেটিকে থানায় নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, মদসহ এ্যাম্বুলেন্স আটকের খবর পেয়ে ময়মনসিংহ থেকে জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক চন্দন গোপাল সুর মুক্তাগাছা থানায় গিয়ে এসব মদ বৈধ দাবি করে মদসহ এম্বুলেন্সটি ছাড়িয়ে নিতে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তার কথা রাখেননি।

মাদক নির্মুলে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। আটক মদ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। থানায় মাদক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডুর ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: