নিরাপদ সড়ক ইস্যুতে গণফোরামের ১৪ দাবি

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০১৯, ০৮:০৭ পিএম

গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধ ও নিরাপদ সড়ক ইস্যুতে ১৪ দফা দাবি জানিয়েছে গণফোরাম।

আজ শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে গণপরিবহনে নৈরাজ্য ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আমছা আমিন এই দাবি জানান।

আমছা বলেন, শিক্ষার্থীরা যে ৮ দফা দাবি জানিয়েছে তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে পাশাপাশি আমরা ১৪ দফা দাবি জানাচ্ছি।

নিরাপদ সড়ক চেয়ে গণফোরামের দাবিগুলো হলো- গণপরিবহন আইন ন্যায্যতার ভিত্তিতে যুগোপযোগী করে তার সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, গণপরিবহন ব্যবস্থাপনা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে এবং অদক্ষ চালকদের প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনায় দোষী চালক ও মালিকদের সাজা নিশ্চিত করতে হবে, গণপরিবহন মালিকানার পরিবর্তে ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিতে পরিচালনা করতে হবে, মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল গণপরিবহন রাস্তা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে, ভুয়া ও অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালু রাখতে হবে, গণপরিবহনের জন্য আলাদা লেন করে গণপরিবহনের সেবার মান বাড়াতে হবে, শহরের মধ্যে অবস্থিত সকল সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে, সড়ক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামনে ফুটওভার ব্রিজ ও স্পিড ব্রেকার তৈরি করতে হবে, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রেগুলেটরি বডি নিয়ন্ত্রিত সরকারি ফান্ডের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং পরিবহন কৌশল এবং সড়ক সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম সভাপতি ড কামাল হোসেন সড়কে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করার তাগিদ দেন। এবং সুশাসন এর মাধ্যমে সড়কে নৈরাজ্য দূর করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে, এই অবহেলার কারণে দায়ীদের চিহ্নিত করতে হবে। প্রত্যেকবারই দুর্ঘটনার পরে বলা হয় যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, কিন্তু যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা কোনদিনই হয়নি।

‘প্রতিবছরই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে এবং একটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমাদের এ দাবিগুলো সরকার এবং সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা গুরুত্ব দিবেন আশা করি। এবং এ নিয়ে সংসদে বিস্তারিত আলোচনা হওয়া দরকার বলেও আমি মনে করি। একই সাথে সরকারের পুলিশ যাদের দায়িত্ব দেয়া আছে, তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’

গণফোরামের সভাপতি বলেন, মূলত এটা সুশাসনের ঘাটতি। সুশাসনের জন্য দরকার আইনের নিরপক্ষ প্রয়োগ। যে লক্ষণে সামনে রেখে আইন করা হয়, সেটা প্রয়োগ করবে পুলিশ। কিন্তু পুলিশ যদি অন্য ভাবে প্রভাবিত হয়, তাদেরকে অন্য ভাবে দুর্বল করে ফেলে তখন সে আইনের শাসন থেকে সরে গিয়ে অরাজকতা ঘটে।

ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, দেশে আইন মানা তো দূরের কথা আইন অমান্য করা একটা মহামারী আকার ধারণ করেছে। এই ব্যাপারে সবাই মিলে পুলিশ যেমন দায়িত্ব পালন করবে তেমনি নাগরিকদেরও এখানে বড় ধরনের অনিয়মে সোচ্চার হতে হবে।

এসময় অন্যদের মধ্যে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আবু সাঈদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: