প্রচার প্রচারণা এখন তুঙ্গে

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৯, ০৫:০৫ পিএম

বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র জমে উঠেছে প্রচার প্রচারণা। পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে এ নির্বাচনী এলাকা। কাকডাকা ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রার্থীদের গণসংযোগ। প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকগণ ভোটাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। বিরামহীনভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন মহল্লায় মহল্লায় উঠান বৈঠক। এ উঠান বৈঠক চলে গভীর রাত অবধি। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বরগুনা শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রার্থীদের সমর্থনে খন্ড খন্ড মিছিল। কোথাও কোথাও ঘটছে মারামারির ঘটনাও। হোটেল-রেস্তোরাসহ ছোটখাট চা দোকানেও আলোচনার ঝড় বইছে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে।

এবারে চারজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে থাকলেও মূল আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাহ্ মোহাম্মদ ওয়ালিইল্লাহ অলি ও আনারস মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী গৌরীচন্না ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনজন প্রার্থী। এরা হলেন- জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরিফ হোসেন মোল্লা (টিউবওয়েল), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমরান হোসেন রাসেল ফরাজী (তালা) ও এ্যাডভোকেট জাফর ইকবাল (চশমা) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজনেই ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন। এরা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা আসমা (কলস) ও শামীমা সুলতানা মুন্নী (ফুটবল)।

জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ ইতোমধ্যেই দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ব্যাপক সভাসমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন। তারা মনে করেন, বিগত ৫ বছরে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, তারই ধারাবাহিকতায় এবারেও নৌকার প্রার্থীকে ভোট দিবেন ভোটাররা। 

আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী এ্যাডভোকেট শাহ্ মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ অলি স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, দু’বারের সভাপতি, বরগুনা সরকারী কলেজের বিপুল ব্যাবধানে নির্বাচিত ভিপি। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আইন পেশায় জড়িত। এলাকায় স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে ব্যাপক সমাদৃত। অপরদিকে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দি মোঃ মনিরুল ইসলাম গৌরীচন্না ইউনিয়নের দু’বারে নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান। তার ইউনিয়নে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিপুল আত্মবিশ্বাস নিয়ে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন।

জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আরিফ হোসেন মোল্লা দলের নিবেদিতপ্রাণ এক কর্মী। বেশ কয়েকবার কারাবরণও করেছেন। একই পদে লড়ছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন রাসেল ফরাজী। তিনি বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতির একমাত্র জামাতা হওয়ায় কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। তাছাড়া ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরগুনা সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিলেন। এ্যাডভোকেট জাফর ইকবাল নামের আরেক প্রার্থীও মাঠগরম করে রেখেছেন চশমা প্রতীক নিয়ে। 

ভোটারদের মনকাড়ার জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা আসমা কলস প্রতীক নিয়ে। ফুটবল প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন শামীমা সুলতানা মুন্নী। দুজনেই রয়েছেন শক্ত অবস্থানে।

বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ৩১ মার্চ। ভোটার সংখ্যা-২ লাখ ৩শ ৭৪জন। নারী ভোটার- ১ লাখ ১ হাজার ৪শ’ ২৫জন ও পুরুষ ভোটার ৯৮হাজার ৯শ’ ৪৯জন। মোট ভোট কেন্দ্র- ৯২টি। পৌরসভাসহ ইউনিয়নের সংখ্যা ১১টি।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: