পুলিশও একজন মানুষ...

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০১৯, ০৭:২২ পিএম

কথায় বলে, ‘মাছ কিনলে ইলিশ আর বিয়ে করলে পুলিশ।’ বিয়ের সময় অনেক পাত্রীর প্রথম পছন্দ পুলিশ। অনেক অভিভাবকও নিজের মেয়েকে পুলিশের সঙ্গেই বিয়ে দিতে চান। তিনি পুলিশ অফিসার হতে পারেন কিংবা হতে পারেন একজন কনস্টেবল। অন্যদিকে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের যত ক্ষোভ-অসন্তোষ। পুলিশ নিয়ে যত কৌতুক, রসকথা ও গল্প প্রথা চলুক না কেন, এ কথা তো নিরেট সত্য, পুলিশ ছাড়া আমাদের চলে না। আইন-শৃঙ্খলা সুরক্ষা ও নাগরিক নিরাপত্তা বিধানে পুলিশের অপরিহার্যতা প্রশ্নাতীত।

আমাদের দেশে পুলিশকে মানুষ বলে গণ্য করে না কেউই, তাদের পরিচয় তারা পুলিশ। অথচ যারা পুলিশে চাকরি করেন, তাদের চব্বিশ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। প্রায় সারাদিন ইউনিফর্ম পরেই থাকতে হয়। প্রচন্ড গরমে রাস্তায় চলতে গিয়ে আমরা যখন হাঁসফাঁস করি, তখনও একজন ট্রাফিক পুলিশকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করতে দেখা যায়। শীত, গ্রীষ্ম, ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও তাদের ডিউটি চলছে। গ্রীষ্মকালে হাল্কা কাপড়ের পোশাক পরেও আমরা স্বস্তি পাই না। কিন্তু পুলিশের লোকজন ভারি কাপড়ের ইউনিফর্ম, পায়ে জুতো-মোজা, মাথায় টুপি, কোমরে বেল্ট পরে দিনের পর দিন ডিউটি করে চলেছে। যাদের দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এভাবেই কাটে তাদের মেজাজ একটু খিটখিটে হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তারপরও আমরা তাদেরকে মানুষ বলে মানতে পারি না।

সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় শেষ হল নতুন একটি নাটকের। নাটকের নাম ‘পুলিশ একজন মানুষ’। সাতটি ছোট গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই নাটকটি। এই সাতটি গল্পের মধ্যে একটি গল্প লিখেছেন অভিনেতা অপূর্ব আর একটি সংগৃহীত এবং বাকি পাঁচটি গল্প লিখেছেন নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ। একজন পুলিশও যে মানুষ, দিন শেষে কারও বাবা, মা, কিংবা কারও ভাই এই গল্পে এটাই দেখানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে নির্ভরতার নাম পুলিশ। এমন গল্পে একজন পুলিশের চরিত্রে দেখা যাবে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা অপূর্বকে। আর এই নাটকটি নির্মাণ করেছেন জনপ্রিয় তরুণ নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ।

নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ বলেন, আমাদের দেশে পুলিশকে নিয়ে পজেটিভ ও নেগেটিভ দুই ধরনেরই ধারণা আছে। কিন্তু নেগেটিভটাই বেশি সমালোচিত হয়। কিন্তু দিনশেষে একজন পুলিশই যে সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা সেটা অনেকে ভুলে যায়। সাতটি ছোট গল্প নিয়ে এই নাটকটি নির্মাণ করেছি যেখানে কিছু মেসেজ রয়েছে, অনেক কিছু শেখার আছে। পুলিশ সম্পর্কে অনেকের অনেক ধারণা। আশা করছি এই নাটকটি দেখার পর অনেকে অনেক কিছু জানতে পারবে, বুঝতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, এই নাটকে আমি পুলিশের পজেটিভ দিকগুলোই তুলে ধরেছি। আর আমি কখনও ভিউজের হিসেব করে কোন নাটক নির্মাণ করি না। আমার প্রতিটা গল্পেই কোন না কোন মেসেজ থাকে। এখানেও তাই।

অপূর্ব জানান, এই কাজটি সত্যি অন্যরকম ভালো লাগা থেকে করেছি। এখানে পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছি। এখানে পুলিশের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। কখনও কনস্টেবল, কখনও এস আই কখনও ট্রাফিক পুলিশ এরকম অনেকগুলো চরিত্র যার সবগুলোই পুলিশ সম্পর্কিত। পুলিশ সম্পর্কে আমরা নানান ধারণা রয়েছে। এই কাজটি থেকে অনেক কিছু শিক্ষনীয় আছে। এম একটা কাজ করে খুব ভালো লেগেছে আমার।

আসছে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ইউটিউবে নাটকটি প্রচার করা হবে বলে জানান নির্মাতা। আর এই পহেলা বৈশাখে এই নির্মাতার তিনটি নাটক ও একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রকাশিত হবে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে।

বিডি২৪লাইভ/আইএন/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: