যেমন হলো চার ধাপের ভোট

প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০১৯, ০১:০০ পিএম

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চার ধাপে প্রায় সাড়ে চারশ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আগামী জুনে পঞ্চম ধাপে সর্বোচ্চ অর্ধশত উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন পর্ব। আগের তুলনায় এবারের নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ। চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে যেখানে শতাধিত নিহত হয় সেখানে এবারের নির্বাচনে নিহতের সংখ্যা শূণ্যের কোটায়। তবে এবারের নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে সব দল অংশ না নেওয়ায় ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। প্রথম ধাপে সর্বোচ্চ ৪৩ শতাংশ ভোট পড়লেও চতুর্থ ধাপে ছিল সবচেয়ে কম, ৩৬ শতাংশ। বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দলের বর্জনের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট পড়ার গড় হারকে স্বাভাবিক বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গত ১০ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়। চার ধাপে ৪৬৫ উপজেলার তফসিল ঘোষণা হলেও ভোটগ্রহণ হয়েছে ৪২৫ টিতে। ৩০ উপজেলায় সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়। বাকি ২০ উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়। এরমধ্যে আদালতের নির্দেশে ১২টি এবং ৮টি ইসির আদেশে।

চার ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৫১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৬০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৮ জন প্রার্থী। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৭ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপে ২৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ১৩ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১২ উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদেও একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বনিদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

তৃতীয় ধাপে ভোটের আগেই ৫৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৩৩, ভাইস চেয়ারম্যান ৯ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান ১৪ জন। এ ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে ৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণের প্রয়োজন পরেনি।

নির্বাচনে ৯০ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়াও এই ধাপের ১৫টি উপজেলায় সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নানা অনিয়মের কারণে ৮টি উপজেলা ও ৬২ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে ইসি। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩১১ জন, স্বতন্ত্র ১৩০ (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং বিএনপির ৩ নেতা) এবং জাতীয় পার্টির ৪ জন।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: