বদলে যাচ্ছে ফুটবলের ৫ নিয়ম

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৩২ পিএম

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। এটি বৈশ্বিকভাবে ব্যাপক পরিচিত। আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা) কর্তৃক পরিচালিত ফুটবল। ফিফার অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) দেখে থাকে খেলার নিয়ম-কানুনের দিকটি।

তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী মৌসুম তথা চলতি বছরের পহেলা জুন থেকে বদলে যাবে ফুটবলের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম। ক্লাব ফুটবল এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল- উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হবে নিয়মগুলো। চলুন দেখে নেয়া যাক নতুন মৌসুমে বদলে যাওয়া নিয়মগুলো:

১। সময় বাঁচাতে নতুন পরিকল্পনা- সময়ের অপচয় ঠেকাতে ম্যাচ চলাকালে খেলোয়াড় পরিবর্তন বা সাবস্টিটিউটের নিয়মে আসছে বদল। অনেক সময়ই দেখা যায় ম্যাচের শেষ দিকে জিততে থাকা দল ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করার জন্য খেলোয়াড় পরিবর্তন করে। মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়া ফুটবলারের সেন্টার সার্কেলে আসতে অনেকটা সময় ব্যয় হতো। কিন্তু নতুন নিয়মে সবচেয়ে কাছে টাচলাইন থেকেই ফুটবলারকে মাঠ ছাড়তে হবে বেরিয়ে যাওয়া খেলোয়াড়কে।

২। ফ্রি-কিকের মানব দেয়ালে হবে নতুন নিয়মে- সাধারণত ফ্রি-কিক নেওয়ার সময় দু’দলের ফুটবলাররা মানব দেয়াল তৈরি করায় হুড়োহুড়ি করেন। গোলবারের সামনে দাঁড়ানো নিয়ে অনেক সময় হাতাহাতি পর্যায়েও চলে যায়। সেই সমস্যা সমাধানে নতুন নিয়মে, অ্যাটাকিং দলের কেউ মানবদেয়াল তৈরি করতে পারবেন না। শুধু প্রতিপক্ষের ফুটবলাররাই সেখানে দাঁড়াতে পারবেন।

৩। কোচদের জন্য সতর্কবার্তা- বেশ কয়েক বছর আগে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচদেরও দেখানো হতো হলুদ-লাল কার্ড। মাঝে এটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তবে নতুন মৌসুমে পুনরায় কোচদেরও দেখানো হবে কার্ড। তাদেরও ছেড়ে যেতে হবে ডাগআউট।

৪। পেনাল্টির নতুন নিয়ম- ম্যাচ চলাকালীন পেনাল্টি কিক নেয়ার পর গোলরক্ষক যদি সেটিকে ফিরিয়ে দেন, তাহলে ফিরতি বলে শট নিয়ে গোল করার সুযোগ ছিলো এতদিন। তবে নতুন মৌসুমে এটি আর থাকছে না। গোলরক্ষক একবার বল ঠেকিয়ে দেয়ার পর পুনরায় সেন্টার কিক থেকে খেলা শুরু করতে হবে।

৫। হ্যান্ডবলে আসছে পরিবর্তন- এতদিন ধরে অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগলে সেটিতে হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজাতেন না রেফারি। তবে পহেলা জুন থেকে খেলোয়াড়ের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত, উভয় হ্যান্ডবলেই ফাউলের বাঁশি বাজাবেন রেফারি।

ফুটবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় সকার নামে পরিচিত। একবিংশ শতকে এসে ফুটবল খেলা দুই শতাধিক দেশের ২৫০ মিলিয়নেরও অধিক খেলোয়াড় খেলে থাকেন। এর ফলে ফুটবল বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রচলিত খেলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

ফুটবল খেলার স্তর এবং দেশভেদে কোচের ভূমিকা ও দায়িত্ব-কর্তব্যের রূপরেখা ভিন্নতর হতে পারে। যুব ফুটবলে কোচের প্রধান ভূমিকা হচ্ছে খেলোয়াড়দেরকে উদ্বুদ্ধ করা এবং তাদের দক্ষতাকে কাগজে-কলমে দেখিয়ে উত্তরণ ঘটানো। শারীরিক অথবা কৌশলগত উত্তরণের তুলনায় প্রাণবন্ত এবং সুন্দর খেলা উপহার দেয়াকে প্রাধান্য দেয়া।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিভিন্ন দেশের ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো তাদের প্রশিক্ষণের ছকে এ সংক্রান্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কোচদেরকেও খেলোয়াড়দের উন্নয়ন এবং বিজয়ের লক্ষ্যে আনন্দ উপভোগের জন্যে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে।

প্রতিযোগিতামূলক খেলায় তিনি মাঠের বাইরে কৌশলগত কারণে সুবিধাজনক যে-কোন জায়গায় অন্যান্য অতিরিক্ত খেলোয়াড় সহযোগে অবস্থান করতে পারেন; কিন্তু তাঁর ঐ অবস্থান আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: