বিজিএমইএ ভবনের মালামাল সরাতে সময় ২ ঘণ্টা

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ০১:০৬ পিএম

রাজধানীর হাতিরঝিল লেকের পাড়ে অবৈধভাবে নির্মিত তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতির প্রধান কার্যালয় বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এরইমধ্যে ভবন থেকে মালামাল সরাতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজউক পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার অলিউর রহমান বিজিএমইএ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের একথা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজে সার্বিকভাবে প্রস্তুত আছি। ভবন ভাঙার জন্য আমাদের বুলডুজারসহ অন্যান্য গাড়ি সামনে প্রস্তুত রয়েছে। এই ভবনে ব্যাংকসহ অন্যান্য অফিস আছে। ব্যাংকের ভল্টে টাকাসহ অফিসের অন্য মালামাল তারা সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে। আমাদের কাছ থেকে তারা দুই ঘণ্টা সময় চেয়ে নিয়েছে। আমরা তাদের মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় ও সুযোগ দিয়েছি।

অলিউর রহমান বলেন, ‘এটি ১৫তলা বিল্ডিং, অনেক অফিস আছে এখানে। তারা তাদের মালামাল সরিয়ে নেবে। এরপর আমরা ভাঙার কাজ শুরু করতে পারব। বর্তমানে আমরা এসব প্রাথমিক কাজগুলো করছি।’

এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিজিএমইএ ভবনের সামনে রাজউক কর্মকর্তারাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা অবস্থান নেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বসে নেই। ভবন ভাঙার প্রাথমিক কাজ আমরা করছি। সব অপসারণের পর আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে। এটা ১০ ঘণ্টা লাগতে পারে আবার একদিনও লাগতে পারে। মহামান্য হাইকোর্ট ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। মাঝখানে কয়েকদিন বন্ধ ছিল। এরপর কর্মদিবস শুরু হয়েছে। আমরাও আমাদের কাজ শুরু করেছি।’

এর আগে সকাল ৯টার দিকে রাজউকের কর্মকর্তারা এসে ভবনের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিফোন লাইনসহ সব ইউটিলিটি সার্ভিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা বলেন। সর্বশেষ ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে সময় দিয়েছিলেন আদালত। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নামছে রাজউক।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ আপিল আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি শেষে ২০১৩ সালে বিজিএমইএকে কিছু নির্দেশনা দিয়ে ভবন ভাঙার জন্য বলা হয়। এরপর রিভিউ আবেদনটিও খারিজ হয়। পরবর্তীতে আদালতের কাছে সময় চেয়ে বারবার আবেদন করে সংগঠনটি। সবশেষ গত বছরের ৩ এপ্রিল এক বছরের জন্য সময় দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

একাধিকবার সময় নিয়েও আদালতের নির্দেশে বিজিএমইএ ব্যর্থ হলে ভবন করার ক্ষেত্রে জায়গা না পাওয়ার অজুহাত দেখায়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৫০ শতাংশ কমমূল্যে উত্তরার ১৭ নং সেক্টরে ১১০ কাঠা জমি দেয়া হয়। আর সেই জমির ওপর ২০১৭ সালে ১৩তলা বিজিএমইএ কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৬তলার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ভবনটির পুরো কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের জুন মাসে। তবে কয়েকটি তলার নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় ও হাইকোর্টের নির্দেশের বাধ্যবাধকতায় চলতি মাসেই বিজিএমইএর প্রধান কার্যালয় উত্তরায় স্থানান্তরিত হয়।

সর্বশেষ ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে সময় দিয়েছিল আদালত। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নামছে রাজউক।

বিডি২৪লাইভ/এসএএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: