নুসরাত হত্যার বিচার চেয়ে বুকে লিখে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন মামুন
শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেলো না নুসরাত জাহান রাফিকে। মা-বাবার আর্তি, সতীর্থসহ সকলের প্রার্থনা আর চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে পাঁচদিন একটানা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি।
নুসরাতের শরীরে আগুন দেয়ার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের জনগণ। সর্বত্র উঠেছে বিচারের দাবি।
এদিকে নুসরাত হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বুকে লিখে ফেনীর সোনাগাজীর বিভিন্ন হাটবাজারে অলিগলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আহমেদ আল মামুন নামে চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী।
তিনি চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার কোরবানীগঞ্জ গ্রামের শহীদ মোহাম্মদ উল্যাহর ছেলে।
তিনি জানান, গত ১৬ এপ্রিল থেকে তিনি নুসরাত হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে গায়ে চিকা মেরে সোনাগাজীতে অবস্থান নিয়েছেন। বিভিন্ন সংগঠনের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করছেন তিনি। গণমাধ্যমে জেনেছেন ২৫ জন আসামি জড়িত রয়েছেন। সব আসামি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত তিনি এভাবে প্রতিবাদ জানাবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।
পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসায় গঠিত হয় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত চিকিৎসার জন্য নুসরাতকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোরও পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু সবার প্রার্থনা-চেষ্টাকে বিফল করে বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে মারা যায় ‘প্রতিবাদী’ নুসরাত।
বিডি২৪লাইভ/এআইআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: