লামায় নির্দ্বিধায় চলছে গাঁজা চাষ ও বিক্রি

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩৫ এএম

বান্দরবানের লামায় হচ্ছে গাঁজা চাষ। লামা পৌর শহরের কাছাকাছি সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড রোয়াজা ঝিরি পাড়া এলাকায় জনৈক মো. ইয়াহিয়া মিন্টু (৩৮) তার বর্গা নেয়া ২০ শতক জমিতে এই গাঁজার চাষ করছে। সে লামা পৌরসভার হরিণঝিরি এলাকার জাকের হোসেন কুতুবীর ছেলে।  

শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে সরেজমিনে গেলে এই গাঁজা চাষের দেখা মিলে।

দেখা যায়, রোয়াজা ঝিরি এলাকার লোকমানের বাড়ির পূর্ব পাশে পাহাড়ের কোল ঘেষে ৬০ শতক জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজি চাষাবাদ করে মো. ইয়াহিয়া মিন্টু। তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম (৩২) ক্ষেতের কাজে সহায়তা করে। 

উক্ত জমিটি লামা পৌরসভার ছাগলখাইয়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুস ছালাম লেদুর কাছ থেকে ১ বছরের জন্য ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বর্গা নেয় মিন্টু। সেখানে ভুট্টা, সীম, পেঁপে, বেগুন, মরিচ সহ নানা রকম সবজির চাষাবাদ করা হয়েছে। পাশের চলাচলের রাস্তা হতে ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে দেখলে এইসব ক্ষেত দেখা যায়। এইসব ফসলের ভিতরে লুকিয়ে প্রায় ২০ শতক জমিতে নেশাদ্রব্য গাঁজার চাষ করছে সে।

রোয়াজা ঝিরি পাড়ার মুরুব্বী লোকমান হোসেন (৬১) ও নেজবর আলী (৬৫) বলেন, এই এলাকায় কখনো গাজা চাষ হয়নি। তাই কেউ গাজা গাছটি চিনে না।

এই বিষয়ে জানতে মো. ইয়াহিয়া মিন্টুর সাথে মুঠোফোনে কল দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কিছু না বলে এড়িয়ে যান।

পৌরসভার হরিণঝিরি এলাকার কয়েকজন বলেন, মিন্টু দীর্ঘদিন যাবৎ গাঁজা বিক্রি করে। এইকাজে তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম ও তার বোন জামাই পার্শ্ববর্তী রুপসীপাড়া ইউনিয়নের মাষ্টার পাড়া এলাকার মো. ইকবাল এবং ইকবালের স্ত্রী জামিলা আক্তার জড়িত রয়েছে। ইকবাল মাষ্টার পাড়া এলাকায় তার তামাক ক্ষেতে কিছুদিন আগে গাজার চাষ করেছিল। জানাজানি হলে সে গাছগুলো তুলে ফেলে। ইকবাল, জামিলা, খুরশিদা ও মিন্টু গাঁজা বিক্রি করে। তাদের কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ তদন্ত আমিনুল হক এর সাথে শনিবার সকাল ৯টায় কথা হয়। তিনি বলেন, আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে অভিযান চালিয়ে ক্ষেত ধ্বংস ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: