তারেক রহমানের নামে সরকারের কাল্পনিক মিথ্যা অভিযোগ

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০১:১৭ পিএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি যেভাবে সুসংগঠিত হচ্ছে, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সরকার ভীত হয়ে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাল্পনিক মিথ্যা অভিযোগ সামনে এনেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসকল কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আদালত ব্যবহার করে সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের নামে যুক্তরাজ্যের একটি ব্যাংকে থাকা তিনটি হিসাব জব্দের নির্দেশের আদেশ করিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। সরকারের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত একটি আদেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে৷ মিথ্যা সাজানো মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে আটকে রাখা হয়েছে অন্যায়ভাবে। এখন বিএনপি-কে চাপে ফেলতে এই সরকার দুদক-কে দিয়ে একটি কাল্পনিক ও মিথ্যা আবেদনের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে আদেশ করিয়েছে। এটি একটি আষাঢ়ে গল্প।

তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, তারেক রহমানের কোন অবৈধ অর্থ নেই। সেখানে তাঁর যা অর্থ আছে তা ইনল্যান্ড রেভিন্যুতে ট্যাক্সপেইড অর্থ। সেদেশে আইনের শাসন রয়েছে, সুতরাং সেখানে আনডিসক্লোজড মানি ট্র্যানজেকশন হওয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ও তাদের আন্দোলনের ফসল’রা বারো বছর ধরে তন্নতন্ন করে খুঁজে তারেক রহমান এর অবৈধ সম্পদের কোন সন্ধান পায়নি। এখন দুদক-কে দিয়ে আরেকটি কুৎসা রটনার নতুন অধ্যায় শুরু করলো। যুক্তরাজ্যের বিদ্যমান আইনে আইনসিদ্ধ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের আদালতের হস্তক্ষেপের কোন এখতিয়ার নেই। সুতরাং বাংলাদেশে যে অপরাজনীতি চলছে, এটা তারই প্রতিফলন। জিয়া পরিবারের প্রতি সরকারের প্রতিহিংসার প্রতিফলন এটি। সরকারের মদদে দুদক আদালতকে ব্যবহার করে যে আদেশ জারি করিয়েছে সেটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি বলেন রিজভী।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, তারেক রহমানকে বিনাশ ও তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার জন্য হেন কাজ নেই যা এই জনভিত্তিহীন করছে না। একদিকে তারা তাদের অনুগত কিছু পেইড মিডিয়া দিতে প্রতিদিন জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে হাইপার প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, অন্যদিকে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও কুৎসাই সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ ও তিতিবিরক্ত।

তিনি বলেন, এখন সরকার যা বলে নিম্ন আদালত তাই করে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর যদি সরকারের নির্দেশ না মেনে কোন বিচারক ন্যায় বিচার করেন তাহলে তাদেরকে দেশ ছাড়তে হয়, যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ বিচারক মোতাহার হোসেন ও প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা।

তারেক রহমান বারবার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ তারা গ্রহন করেনি বলেন রিজভী।

বিডি২৪লাইভ/এএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: