সত্যি কি চা বেচতেন মোদি!
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে এই দু’ধাপের নির্বাচনে সহিংসতা, গুলি, ভাংচুর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ইভিএম-জটের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের পিছনের জীবনাচারণ নিয়েও রয়েছে আলোচনা-সমলোচনা। ইতোমধ্যে যে বিষয়টি আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে তাহলো ক্ষমতাসীন বিজেপি প্রধান নরেন্দ্র মোদি সত্যি কি চা বিক্রি করতেন?
ভারতের গুজরাট রাজ্যের এক রেলস্টেশনে চা বিক্রি করতেন বালক নরেন্দ্র মোদি। তারপর একসময় নাম লেখালেন রাজনীতিতে। গুজরাটের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী মোদিকে ২০১৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশ, স্থানীয়রা জানিয়েছে বেশকয়েক বছর আগে গুজরাট রাজ্যের বডনগর রেলস্টেশন চত্বরটি লোকসমাগমে পরিপূর্ণ ছিল। স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও এর আশেপাশে দোকানের অভাব ছিল না। কিন্তু এখন একটি দোকানও নেই সেখানে।
তবে আর সব দোকানের অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়া গেলেও মোদির চায়ের দোকানটি এখনও আছে। অবিকল পুরনো অবস্থাতেই রাখা হয়েছে সেটিকে। কিন্তু সেখানে নেই কোনো চায়ের দোকানি। জ্বলে না কোনো চুলা। দোকানটির ভাঙাচোরা টিনে যে কথাটি লেখা রয়েছে - ‘নরেন্দ্র মোদির চায়ের দোকান। আপনি সিসিটিভির নজরে।’
জানা গেছে, দুই বছর আগে মোদি এই স্টেশন ঘুরে গেছেন। আট কোটি রুপি ব্যয়ে পুরো স্টেশনটিকে নতুন করে গড়ে তোলে রেল মন্ত্রণালয়। সেসময় ‘মোদী’র সেই চায়ের দোকানটি একটুও ছোঁয়া হয়নি। অবিকল আগের অবস্থাতেই রাখা হয়েছে। কিন্তু তুলে দেয়া হয় বাকি সব দোকান।
বিষয়টিকে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ বলেই ভাবছেন ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকরা। ভোটে ভারতীয়দের নজর কাড়তেই ‘চা-ওয়ালা’ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন মোদি!
চলমান লোকসভা নির্বাচনে মোদির সেই চায়ের দোকানটি আবারও আলোচনায় চলে এসেছে। কয়েকদিন আগে ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেছেন, ‘বডনগর স্টেশনে মোদি যে কেটলিতে চা বেচতেন এখনও পর্যন্ত সেই কেটলি কেউ দেখেননি। আজ পর্যন্ত কাউকে পাওয়া যায়নি যিনি মোদির হাত থেকে চায়ের পেয়ালা নিয়েছেন।’
একইরকম বক্তব্য এসেছে দেশটির হিন্দু পরিষদের সাবেক নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়ারের কাছ থেকে। তিনি বলেছেন, ‘মোদিকে চা বেচতে কখনও দেখা যায়নি। শুধু ভোটব্যাংক বাড়াতে চা-ওয়ালা ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন মোদি।’
কংগ্রেস নেতারাও এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, মোদির চা বেচা ভোটের রাজনীতিতে শ্রেফ ফাঁকিবাজি নয় তো? এ নিয়ে আবারও অনুসন্ধানে নেমেছিলেন দেশটির সাংবাদিকরা। স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তির কাছে গিয়ে তারা প্রশ্ন ছুড়েঁন - সত্যিই কি মোদি কখনও চা বেচেননি? চা বানিয়ে কাউকে খাওয়াননি? তাহলে বডনগর স্টেশনের এই জরাজীর্ণ চায়ের দোকানটি তাহলে কার?
স্টেশনের কাছাকছি ষাটোর্ধ বয়সী রমনজি তাখাজির নামের এক দোকনিকে পাওয়া গেল। প্রশ্নটির জবারে তিনি বলেন,‘মোদিকে কখনও চা বেচতে দেখিনি। তবে তার বাবা দামোদর দাসের চায়ের দোকান ছিল। আর সেটা স্টেশনের ভেতরে রাখা ওই টিনের দোকানটি নয়। স্টেশনের বাইরে ছোট্ট একটি দোকান চালাতেন মোদির বাবা। ’
তাহলে স্টেশনের সেই পুরনো দোকানটি কার? এমন প্রশ্নে তিনি হেসে বলেন, ‘ওটা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দেখুন, ওই এক চায়ের দোকানই আছে সেখানে। অথচ আশপাশের একশ’দোকান উচ্ছেদ করে দিয়েছে প্রশাসন। সেসব দোকানের কর্মচারীরা এখন বেকার। সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি২৪লাইভ/এসএএস
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: