যুবলীগ নেতার বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩৬ এএম

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে যুবলীগ নেতা কাউসার আহমেদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। কাউসার আহমেদ গফরগাঁও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকালে বীরবখুরা গ্রামে যুবলীগ নেতা কাউসার আহমেদের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

যুবলীগ নেতার বাবা হোসেন মড়ল বলেন, সোমবার বিকেলে পুলিশের পোশাকে ৩টি মোটরসাইকেল এবং সাদা পোশাকে ৩টি মোটরসাইকেলে করে ১০-১৫ জন বাড়িতে ঢুকে সামনের গেট লাগিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে কাউসারকে খোঁজ করে। তাকে না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে ফ্রিজ, টিভি, সুকেস, চেয়ারসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে।

এ সময় আলমিরাতে থাকা ২১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

যুবলীগ নেতা কাউসারের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষিকা। আমাদের পারিবারিক ভাবে এলাকাতে একটা সুনাম রয়েছে।

কিন্তু পুলিশ আসামি ধরার নামে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে মহিলাদের অশালীন ভাবে গালিগালাজ করে। বেড রুমে প্রবেশ করে, ফ্রিজ, টিভি, সুকেস, চেয়ারসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে। আমার ছয় বছরের ছেলেকেও মারধর করে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

&dquote;&dquote;এছাড়া ঘরের আলমিরা থেকে স্বার্ণালংকার, নগদ টাকা লুট করে। যাওয়ার সময় আমার স্বামীর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও নিয়ে যায় তারা।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল ও সুমন হোসেন নামের দুজন ব্যক্তি বলেন, পুলিশ কারো বাড়িতে আসামি ধরতে আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আসামি ধরার নামে দুর্বৃত্তদের সাথে নিয়ে বাড়ির বেড রুমে প্রবেশ করে মহিলাদের গালিগালাজ করা, ভাংচুর ও লুটপাট করা এটা কোন ধরনের আইন।

গফরগাঁও থানার ওসি আব্দুল আহাদ খান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদে বালু মহালের ইজারা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় কাউসারের বাড়িতে পুলিশ আসামি ধরতে গিয়ে ছিল। কিন্তু সেখানে কে বা কারা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমার জানা নেই।

গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, বীরবখুরা গ্রামে বিকালে পুলিশ আসামি ধরতে গিয়েছিল। সেখানে পুলিশ কোনো হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়নি। তবে কাউসারের পরিবার হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ করেছে। আর রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

&dquote;&dquote;উল্লেখ্য, ব্রহ্মপুত্র নদে বালু মহালের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক তাজমুন আহমেদ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সানিল গ্রুপের সাথে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কাউসার আহমেদের সাথে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জেরে গত রবিবার রাতে তাজমুন, সানিল গ্রুপের সাথে কাউসার গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত পাঁচ জন আহত হয়। 

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: