আ’লীগে শুদ্ধি আভিযান, শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে ত্যাগীরা

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:৪১ পিএম

শীতের পাখির ভিড়ে প্রতিদিনের দেখা পাখিরা হারিয়ে যেতে বসেছে আওয়ামী লীগে। পরগাছাদের ভিড়ে উপেক্ষিত আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। কোন কারণে এখন আওয়মী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরাই দলের অতিথি? কে দিবে এর উত্তর, এমন কথা আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে মাঝারি নেতাদের। কেন দল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ত্যাগী নেতাকর্মীরা? না কৌশলে তাদেরকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্ন এখন দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীদের। নিবেদিতদের নিরব কান্না থামাতে অবশেষে অভিযানে নামতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। এবার আর রক্ষা পাচ্ছে না দলে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড ও ধান্দাবাজ নেতারা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই দলের সাংগঠনিক কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, এরই প্রেক্ষিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ইতোমধ্যে আট বিভাগে আটটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় টিম গঠন করে দিয়েছেন। তারা সারাদেশে সাংগঠনিক সফরের মাধ্যমে তৃণমূলকে শক্তিশালী ও ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি বহিরাগতদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চালাবেন। এই টিম স্থানীয় নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থানকারী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানা যায়।

এদিকে আগামী অক্টোবরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় জাতীয় সম্মেলনের আগ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দলকে চাঙ্গা ও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে রমাজান মাসেই মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। শুধু তৃণমূলই নয়, দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ দলের সহযোগী সংগঠনগুলোকেও দ্রুত সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব গঠনের তাগাদা দিয়েছে শীর্ষ নেতারা।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন সিরাজ বিডি২৪লাইভকে বলেন, দলের ভিতর অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে, একথা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আমরা যেহেতু অনেক দিন যাবত আছি, তাই ক্ষমতার স্বাদ পেতেই অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। তবে দলে কোন বহিরাগত ও বিতর্কিত ব্যক্তি থাকবে না। বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত ও আওয়ামী বিরোধীদের দলের ভেতর স্থান করে দেয়া নেতাকর্মীদের বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সারাদেশের জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে আট বিভাগের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা খুব শীঘ্রই বসবেন। সেই বৈঠকে ঐ বিভাগের মন্ত্রী-এমপিরাও উপস্থিত থাকবেন। কোথায় কী সমস্যা আছে তা নিরসন করার জন্য আমরা অল্প কয়েকদিনের মাঝেই বসতে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য তৃণমূলকে কি ভাবে শক্তিশালী ও ঢেলে সাজানো যায়, এবং মেয়াদোউত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠন যত তাড়াতাড়ি করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করব। স্থানীয় নির্বাচনে আওয়মী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপিরা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নৌকাকে ডুবাতে ভূমিকা পালন করেছে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ/এসবি/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: