মামলা তুলে নিয়ে আপোষ-মীমাংসার জন্য চাপ
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা মোর্শেদ আলীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত পরিবার।
মামলা তুলে নিয়ে আপোষ-মীমাংসা করার জন্য হুমকী দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নিহতের স্ত্রী ও মামলার বাদী তাসলিমা আক্তার শিউলী।
তিনি বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি রাতে কানুরামপুর বাজার থেকে (দত্তপুর) বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোর্শেদ আলী খানকে কুপিয়ে হত্যা করে পার্শবর্তী কতুবপুর এবং কানুরামপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সুমন ভূঁইয়া, রুবেল ভূঁইয়া, শামীম ভূঁইয়া, আব্দুল হেলিম ভূঁইয়া, মফিজুল ইসলাম ভূইয়াসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী।
এ ঘটনায় আমি ৩২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে ২৮ জন জামিনে রয়েছে।
নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া জেলা হাজতে থাকলেও মামলার অন্যতম আসামি রুবেল ভূঁইয়া এবং সুমন ভূঁইয়া পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের কোন তৎপরতা নেই।
জামিনে থাকা আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। অন্যথায় পরিবারের সকলকে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে। মোর্শেদ হত্যাকান্ডের সাক্ষীদের নামে আসামিরা আদালতে বেশ কয়েকটি মামলাও দিয়েছে। আমি আমার একমাত্র ছোট ছেলেকে নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক রুপক সরকার বলেন, সাম্প্রতি নান্দাইল থানা থেকে মোর্শেদ হত্যা মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ মামলায় দুইজন আসামি জেলে রয়েছে। ২৮জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছে।
রুবেল ভূঁইয়া এবং সুমন ভূঁইয়া নামে দুইজন আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অচিরেই মামলার তদন্ত কাজ শেষ করে চার্জশীট প্রদান করা হবে।
বিডি২৪লাইভ/এজে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: