বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পাঁচ দেশ

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:১৫ পিএম

পৃথিবীতে বহু দেশ রয়েছে। যার কোনটি ছোট আবার কোনটি বড়। তাছাড়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে নানান ধরণের তফাত। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য রয়েছে বিশ্বের এমন ক্ষুদ্রতম বা ছোট ৫টি দেশ সম্পর্কে চলুন জেনে নেয়া যাক।

ভ্যাটিকান সিটি: বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ ভ্যাটিকান সিটি। যা ইতালির রোম শহরের মধ্যে অবস্থিত। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম স্বাধীন রাষ্ট্র এটি। ভ্যাটিকান সিটির আয়তন মাত্র ১১০ একর। দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ১ হাজার। ধর্মগুরু পোপ ভ্যাটিকানের ‘সেরিমোনিয়াল চিফ হিসেবে অভিহিত হয়ে থাকেন। দেশ হিসেবে ছোট হলেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা কিন্তু ভ্যাটিকানে অবস্থিত। এই ছোট দেশে বছরে প্রায় ৪০ লাখ দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। ১৯২৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পায় ভ্যাটিকান সিটি। ভ্যাটিকান সিটিকে ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ ‘বিশ্ব ঐতিহাসিক স্থান’ হিসেবে ঘোষণা করে।

মোনাকো: পৃথিবীর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র হচ্ছে মোনাকো। ইউরোপ মহাদেশের পশ্চিমে অবস্থিত দেশটির আয়তন হচ্ছে মাত্র ২ বর্গ কিলোমিটার। মোনাকোর জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। একটি মাত্র শহর নিয়ে তৈরি দেশটি মন্টি কার্লো ক্যাসিনোর জন্য বিখ্যাত। মোনাকোর তিন পাশেই আছে ফ্রান্স, অপরদিকে ভূমধ্যসাগর অবস্থিত। মজার বিষয় হলো এই দেশটিতে নাগরিকদের কোনো ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয় না।

নাউরু: বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র হচ্ছে নাউরু। অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে অবস্থিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি। দেশটির আয়তন মাত্র ২১ বর্গ কিলোমিটার। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই ফসফেট দ্বীপ রাষ্ট্রের জনসংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ফসফেট আহরোণ ছিল দেশটির প্রধান আয়ের উৎস। সীমিত পর্যটন, ফসফেটের ক্ষণি আর নারিকেল জাতীয় খাবার তৈরি করা এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা।

টুভ্যালু: পৃথিবীর চতুর্থ ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র হচ্ছে টুভ্যালু। পাঁচটি উপরোক বেষ্টনকারি প্রবাল প্রাচীর আর চারটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশ টুভ্যালু। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দেশটির আয়তন হচ্ছে মাত্র ২৬ বর্গ কিলোমিটার। দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১১০০ জন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৪.৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত টুভ্যালু বিশ্বের নিচু দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশটিতে একটি মাত্র বিমানবন্দর রয়েছে। টুভ্যালুতে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র চালু রয়েছে। সাঁতারের জন্য বিখ্যাত দেশটিতে রয়েছে চমৎকার আবহাওয়া যা প্রতিবছর প্রচুর পর্যটককে আকৃষ্ট করে। ১৯৭৬ সালের দিকে টুভ্যালুতে বৃটিশরা কলোনী স্থাপন করে। কিন্তু ১৯৭৮ সালে দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করে।

স্যান ম্যারিনো: বিশ্বের পঞ্চম ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র হচ্ছে স্যান ম্যারিনো। ইতালির ভেতরে অবস্থিত দেশটির আয়তন হচ্ছে মাত্র ৬১ বর্গ কিলোমিটার। এই ক্ষুদ্র দেশটিকে চারপাশে অবস্থিত ইতালি। স্যান ম্যারিনো বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৩৪০০ জন। এই দেশটিতে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো প্রজাতন্ত্র ব্যবস্থা চালু রয়েছে। যা ৩০১ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ৯টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত দেশটির রাজধানীর নাম হচ্ছে স্যান ম্যারিনো সিটি। মজার বিষয় হলো স্যান ম্যারিনোতে যতগুলো যানবাহন আছে তার থেকে মানুষের সংখ্যা কম। দেশটির প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে পর্যটন, ব্যাংকিং এবং টেক্সটাইল। সান মারিনোর মাউন্ট তিতানো পর্যটকদের মুগ্ধ করে। শান্তি প্রিয় দেশ সান মারিনো বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো সার্বভৌম রাষ্ট্র।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: