প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি

প্রকাশিত: ০১ মে ২০১৯, ০৮:০০ পিএম

প্রিয় মমতাময়ী মা জননেত্রী শেখ হাসিনা, আমি আবুল কাশেম গাজী সিনিয়র সহ-সভাপতি ৭৩নং ওয়ার্ড যুবলীগ, সবুজবাগ, ঢাকা। গত ২৪শে নভেম্বর ২০০৫ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবীদের ডাকা হরতালে মিছিলরত অবস্থায় পুলিশের লাঠিচার্জ ও অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বর্তমানে একরকম পঙ্গুত্ব বরণ করে বেঁচে আছি। আমার হাটুর বাটি ভেঙে যায়। সেই থেকে আমি পা সোজা রেখেই চলাচল করে আসছি (এক প্রকার চলাচল করতে পারি না বলা যায়)। এক কথায় ভালো ভাবে চলতে পারি না। আমি আমার শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত দলের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি।

গত ২৬শে নভেম্বর ২০০৫ সালে তৎকালীন যুবলীগের চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাইয়ের সাথে দেখা করি। আমার ক্ষতিগ্রস্ত পা ও শারীরিক অবস্থা দেখে সে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় জড়িয়ে ধরেন। আমাকে ডাক্তারী খরচ হিসেবে কিছু আর্থিক সহায়তা করেন এবং সান্ত্বনা দেন। নানক ভাই আপনাকে আমার বিষয়ে ফোনে অবগত করেন এবং আপনার নির্দেশে সাহস প্রদান করেন।

১৯/১২/২০০৫ বৃহস্পতিবার মহামান্য আদালতে একটি নির্যাতন মামলা দায়ের করি, যাহার প্রধান স্বাক্ষী জনাব জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাই ও ২য় স্বাক্ষী জনাব মির্জা আজম এমপি সাহেব। ১৯/১২/২০০৫ তারিখে দায়ের করা মামলা তৎকালীন সময় এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে জাতীয় সকল পত্রিকা খুব গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করে ফলস্বরূপ পুলিশ এবং বিএনপি- জামাত সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে পালিয়ে পালিয়ে জীবন যাপন করি। আমাকে হয়রানি করার জন্য ১০/০৪/২০১৭ তারিখ বাসা থেকে তুলে নিয়ে ১৭/০৪/২০১৭ তারিখে অস্ত্রসহ পুরনো মিথ্যা মামলায় চালান দিয়ে দেয়।

প্রিয় মমতাময়ী, আমি পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছি। আপনার কাছে আকুল আবেদন আমার নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি ও আপনার সাথে যাহাতে স্বাক্ষাত করতে পারি তাহার সুব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি। আমার উল্লেখিত লেখার ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনার দৃষ্টিগোচরের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রইলাম।

জননেত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, দেশরত্ন, বিশ্ব নেতা, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার একজন আস্থাভাজন কর্মী, আবুল কাশেম গাজী। আমি আমার শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত দলের জন্য কাজ করতে চাই।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: