আসছে ফণী, ক্ষয়ক্ষতি কমাতে উপকূল খালি করার নির্দেশ

প্রকাশিত: ০১ মে ২০১৯, ১০:০২ পিএম

বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এটি আগের তুলনায় আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটি ৪ মে আঘাত হানতে পারে। ঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে ভারতের ওড়িশার পর পশ্চিমবঙ্গের সব উপকূল খালি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সৈকত সংলগ্ন শহরের সব হোটেল থেকে পর্যটক সরিয়ে নেয়ার কাজ করেছে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ধাক্কা খাওয়ার পরই সুপার সাইক্লোন ফণী পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০০৯ সালে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আয়লার চেয়েও শক্তিশালী এই সুপার সাইক্লোনের কারণে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী ৮ জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুরীতেও হোটেল খালি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার রাজ্যের দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর তাজপুর ও বকখালিতেও একই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে বুধবার (১ মে) আবহাওয়া পর্যালোচনা বাংলাদেশের উপকূল অবস্থানরত জনগণকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হচ্ছে। তাছাড়া উপকূলীয় জেলাগুলোতে ২০০ মেট্রিক টন চাল, ২০০০ প্যাকেট করে শুকনা খাবার ও নগদ পাঁচ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

বলা হচ্ছে ফণীর প্রভাবে দক্ষিণ ভারত, ওডিশা ও বাংলাদেশে ব্যাপক বৃষ্টি হতে পারে।

বাংলাদেশের তরফেই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেয়া হয়েছে ‘ফণী’। ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’-এ পরিণত হচ্ছে ঝড়টি। ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

গত রোববার (২৮ এপ্রিল) ফণীর অবস্থান ছিল বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরে। সোমবার ছিল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে ১,০৯০ কিলোমিটার এবং চেন্নাইয়ের দক্ষিণ-পূর্ব থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দূরে।

ফণী যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। এর প্রভাবে কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের আয়তনের চেয়েও বড়; প্রায় ২ লাখ বর্গকিলোমিটার। একই জায়গায় গত ৫ দিন ধরে অবস্থান করে প্রবল ধ্বংসাত্মক শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোনে রূপ নিচ্ছে ফণী।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: