বিজয়ী হলেন যারা

প্রকাশিত: ০৬ মে ২০১৯, ১২:৪৫ এএম

নবগঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে বিজয়ীদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সব কয়টি কেন্দ্রের ফলাফল সংগ্রহের পর কন্ট্রোল রুম থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রথম কোনো সিটি করপোরেশনে ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচনে বিজয়ী ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ও ১১টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

নগরীর টাউন হল অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তন থেকে রাতে রিটানিং কর্মকর্তা মো: আলীমুজ্জামান সকল ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষণা করেন।

১নং ওয়ার্ডে মো: আসাদুজ্জামান বাবু ৩৪৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম আবদুল ওয়াদুদ ১৩৮০ ভোট পেয়েছেন।

২নং ওয়ার্ডে গোলাম রফিক দুদু ১৮১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম এম এ মতিন ১৫৯৩ ভোট পেয়েছেন।

৩নং ওয়ার্ডে শরিফকুল ইসলাম ২৯৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম রফিকুল ইসলাম শাহিন ৪২৯ ভোট পেয়েছেন।

৪নং ওয়ার্ডে মো: মাহবুবুর রহমান (দুলাল) ১৯১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তাঁর নিকটতম রাসেল পাঠান ১৪৫৯ ভোট পেয়েছেন।

৫নং ওয়ার্ডে নিয়াজ মোর্শেদ ১৩৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তাঁর নিকটতম মনিরুল ইসলাম ৮২৯ ভোট পেয়েছেন।

৬নং ওয়ার্ডে সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু ২৫০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তাঁর মুস্তাফিজুর রহমান ১৩৭২ ভোট পেয়েছেন।

৭নং ওয়ার্ডে আসিফ হোসেন ডন ১৪৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তাঁর নিকটতম সঞ্জীব সরকার ৮৯৮ ভোট পেয়েছেন।

৮নং ওয়ার্ডে ফারুক হাসান ১৮৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম বিকাশ সরকার ১৪৭৫ ভোট পেয়েছেন।

৯নং ওয়ার্ডে প্রতিক নিয়ে শীতল সরকার ২২৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম আল মাসুদ ১৬৫৯ ভোট পেয়েছেন।

১০নং ওয়ার্ডে তাজুল আলম ১৮২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম রতন চৌধুরী পন্ডিত ১৪৪৪ ভোট পেয়েছেন।

১১নং ওয়ার্ডে ফরহাদ আলম ১৮৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম খন্দকার আনিসুজ্জামান এলিছ ৪২৯ ভোট পেয়েছেন।

১২নং ওয়ার্ডে আনিসুর রহমান ২১০১ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম হানিফ মো: ওয়ালিউল্লাহ ১৩৭৭ ভোট পেয়েছেন।

১৩নং ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেন ১৬২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম আব্বাস আলী তালুকদার ১২৬৫ ভোট পেয়েছেন।

১৪নং ওয়ার্ডে ফজলুল হক উজ্জল ১৩৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম আাতিকুর হাসান মাসুম ১০৭২ ভোট পেয়েছেন।

১৫নং ওয়ার্ডে মাহবুব আলম হেলাল ২০৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম মোঃ রফিকুল ইসলাম ১৫৬৪ ভোট পেয়েছেন।

১৬নং ওয়ার্ডে মো: আব্দুল মান্নান ১৯২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম শরাফ উদ্দিন ১৫৭১ ভোট পেয়েছেন।

১৭নং ওয়ার্ডে মো: কামাল খান ২০৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম মো: নজরুল ইসলাম ১৮৩৭ ভোট পেয়েছেন।

১৮নং ওয়ার্ডে হাবিবুর রহমান হবি ২৮১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম জামাল হোসেন রোজ ২২১৫ ভোট পেয়েছেন।

১৯নং ওয়ার্ডে আব্বাস আলী মন্ডল ৩২০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম মাহবুবুর রহমান ২৫৯৭ ভোট পেয়েছেন।

২০নং ওয়ার্ডে সিরাজুল ইসলাম ২১১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম সাইদুর রহমান তারু ১৪৫৫ ভোট পেয়েছেন।

২১নং ওয়ার্ডে মোস্তফা ফারুক ৯৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম লাল মিয়া লাল্টু ৩৯৮ ভোট পেয়েছেন।

২২নং ওয়ার্ডে মো: মোস্তফা কামাল ১০১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম আবুল হাসেম ৬৩৯ ভোট পেয়েছেন।

২৩নং ওয়ার্ডে সাব্বির ইউনুস ১৭৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম নাজমূল হাসান ৯৫৩ ভোট পেয়েছেন।

২৪নং ওয়ার্ডে আমিনুল ইসলাম ৯৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম আসলাম হোসেন ৫৫৬ ভোট পেয়েছেন।

২৫নং ওয়ার্ডে মনোয়ার হোসেন বিপ্লব ১১২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকট উমর ফারুক ১০৩২ ভোট পেয়েছেন।

২৬নং ওয়ার্ডে শফিকুল ইসলাম ১৯৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম মমিন রুবেল ৭৯১ ভোট পেয়েছেন।

২৭নং ওয়ার্ডে মো: শামছুল হক লিটন ১৯৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম খাইরুল ইসলাম ১৪৭৮ ভোট পেয়েছেন।

২৮নং ওয়ার্ডে কায়সার জাহাঙ্গীর আকন্দ ১৯৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম আপেল ৮৩৩ ভোট পেয়েছেন।

২৯নং ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম ১০২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম আবুল হোসেন ৭০৯ ভোট পেয়েছেন।

৩০নং ওয়ার্ডে আবুল বাশার ১৫৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম শাহ আলম ১০২৫ ভোট পেয়েছেন।
৩১নং ওয়ার্ডে আসাদুজ্জামান ৩১০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম সেলিম উদ্দিন ২৭৪৪ ভোট পেয়েছেন।

৩২নং ওয়ার্ডে এমদাদুল হক মন্ডল ২৩৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম আবু বক্কর সিদ্দিক ১৬১৩ ভোট পেয়েছেন।

৩৩নং ওয়ার্ডে শাহজাহান মুনীর ৪৫১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর নিকটতম মোস্তফা কামাল ২২১১ ভোট পেয়েছেন।

এ ছাড়াও ১, ২, ৩ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সেলিনা আক্তার (ষ্টিল আলমারী) প্রতীক নিয়ে ৩৮০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাঁর নিকটতম আকিকুন নাহার (চশমা) প্রতীকে ৩৭৫২ ভোট পেয়েছেন।

৪, ৫, ৬ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে শাম্মী আক্তার মিতু ৪৮৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাঁর নিকটতম আনারস প্রতীকে খোদেজা আক্তার ৩২৭৫ ভোট পেয়েছেন।

৭, ৮, ৯ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে হামিদা পারভীন (বই) প্রতীক নিয়ে ৩৩০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাঁর নিকটতম আরতী গুপ্তা (ডলফিন) প্রতীকে ২৯৭০ ভোট পেয়েছেন।

১০, ১১, ১২ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতীক নিয়ে রোকসানা শিরিন (হেলিকপ্টার) ২৩১০ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাঁর নিকটতম রীতা পাল (জিপ গাড়ী) প্রতীকে ২০০৭ ভোট পেয়েছেন।

১৩,১৪,১৫ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে রোকেয়া হোসেন ৪৫৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাঁর নিকটতম আনারশ প্রতীকে স্বপ্না খন্দকার ৩৪৬৩ ভোট পেয়েছেন।

১৬, ১৭, ১৮ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে রোকসানা পারভীন কাজল (বই) প্রতীক নিয়ে ৪৪০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাঁর নিকটতম রানী বেগম (মোবাইল) প্রতীকে ৩৫৭৪ ভোট পেয়েছেন।

১৯, ২০, ২১ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে শামীমা আক্তার ৯৮৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাঁর নিকটতম বই প্রতীকে ইসমত আরা বানু ৩৬৮৪ ভোট পেয়েছেন।

২২, ২৩, ২৪ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে শাহনাজ বেগম (বই) প্রতীক নিয়ে ৪৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাঁর নিকটতম মোছা: হাজেরা খাতুন (আনারস) প্রতীকে ৩৮০৬ ভোট পেয়েছেন।

২৫, ২৬, ২৭ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে আইরিন আক্তার (চশমা) ৪৯৬৪ প্রতীকে ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাঁর নিকটতম রিনা আক্তার (মোবাইল ফোন) প্রতীকে ভোট ৪৭৫৮ পেয়েছেন।

২৮, ২৯, ৩০ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউসার-ই-জান্নাত (মোবাইল ফোন) প্রতীক নিয়ে ৫১২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাঁর নিকটতম রেজিয়া খাতুন (আনারস) প্রতীকে ২৩৬৯ ভোট পেয়েছেন।

৩১, ৩২, ৩৩ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে মোছাঃ ফারজানা ববি কাকলী ৬৫৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাঁর নিকটতম হেলিকপ্টার প্রতীকে মোছাঃ কুলসুম বেগম ৪৮৯৩ ভোট পেয়েছেন।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৩৩টি ওয়ার্ডের ১২৭টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু নির্বাচিত হওয়ায় শুধু সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৭০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনের নিরাপত্তায় ২২ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ৩৩টি ও পুলিশের ৩৩টি পৃথক মোবাইল টিম এবং ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তিনজন অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রতিটি কেন্দ্রে ১০জন আনসার সদস্য ও তিনজন পুলিশ দায়িত্ব পালন করেন। ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নিয়োজিত ছিলেন ভ্রাম্যমান আদালত।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: