ঈদকে সামনে রেখে অনলাইনে পণ্য বেচাকেনার হিড়িক

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০১৭, ০২:৩৭ পিএম

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে রাজধানীর বিপণিবিতান ও শপিংমলগুলো। এর সাথে সাথে প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বায়নের এই যুগে অনলাইনেই চলছে পণ্য কেনাবেচার হিড়িক। ঘরে বসে মানুষ এখন প্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিস পাচ্ছে তাদের হাতের নাগালেই। আমাদের প্রাত্যহিক নগরজীবনের ব্যস্ততা ও বাজারে যাওয়ার ঝক্কিঝামেলার কারণেই আজ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইনে কেনাকাটা।

ঈদকে সামনে রেখে এসব পোর্টালে চলছে মূল্যছাড় ও অফারের হিড়িক। তাই ক্রেতারাও এ সুযোগে নিজেদের পছন্দের প্রয়োজনটি লুফে নিচ্ছেন ঘরে বসেই। প্রতি নিয়তই নতুন নতুন পোর্টাল আসছে অনলাইন বাজারে , সাথে সাথে বাড়ছে কেনাকাটার প্রসার। নতুন পণ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন পুরনো পণ্য বেচাকেনা হচ্ছে এসব সাইটে।

জানা গেছে, দেশে বর্তমানে বিক্রয় ডটকম, আজকের ডেল, প্রিয় সোপ, ওএলএক্স ডটকমডট বিডি, লামুদি ডটকমডট বিডি, সেলবাজার ডটকম, ক্লিকবিডি ডটকমসহ বেশ কয়েকটি সাইট রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে সহজেই কেনাবেচা করা যায়।

প্রিয় সোপ থেকে রাকিবুল ইসলাম বিডি২৪লাইভকে জানান, আমাদের এখানে খুব ভালোই বেচাকেনা চলছে। প্রায় প্রতিদিনই আমাদের কাছে ক্রেতারা সব ধরনের পণ্যের জন্যেই ফোন দিয়ে অর্ডার করেন। এখন ঈদ উপলক্ষে আমাদের কালেকশনও বেশি আর আমাদের সেলও এখন অনেক বেশি।

শবনম সুলতানা নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী বিডি২৪লাইভকে জানান, ফেসবুকে আমার অনলাইন কেনাকাটার পোর্টালগুলোতে লাইকদেয়া আছে, আমি খুব সহজেই এখান থেকে আমার পছন্দের পণ্যটির অর্ডার দিতে পারি। এখন আর আমার শপিংয়ে যেতে জ্যামের মধ্যে বসে থাকতে হয় না। ঘরে বসেই নিজের প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে পারি।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে দেশে প্রথমবারের মতো অনলাইনে বেচাকেনা শুরু হয়। ২০১০ সালে বেসরকারি ব্যাংক ডাচ্-বাংলা সর্বপ্রথম ই-পেমেন্ট সুবিধা চালু করে। আর ২০০৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইনে কেনাকাটার অনুমতি দেয়। এ অনুমোদনের ফলে দেশী মুদ্রায় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কেনাকাটা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এর আগে ইন্টারনেটে কেনাকাটার সুযোগ থাকলেও টাকায় কেনার সুযোগ ছিল না। এজন্য বিদেশী ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে হতো। মূলত এসব ওয়েবসাইটে প্রবাস থেকে পণ্য কিনে তা দেশে প্রিয়জনদের কাছে পাঠাতেন অনেকে।

অনলাইনে কেনাকাটা চালুর এগার বছর পার হলেও ই-কমার্স সাইটের জন্য কোনো নীতিমালা তৈরি হয়নি। বিভিন্ন অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ফোনে যোগাযোগ করে কুরিয়ারের মাধ্যমে বিক্রেতাকে টাকা পাঠান। বিক্রেতাও কুরিয়ারের মাধ্যমে ক্রেতার ঠিকানায় পণ্য পাঠিয়ে দেন। তবে রিসিভ করার পর অর্ডারকৃত প্রকৃত জিনিসটি তারা পাননি বলে অভিযোগ আছে।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটা চালুর আট বছর হয়ে গেলেও সরকার ই-কমার্স সাইটের জন্য কোনো নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি এখনো। এক্ষেত্রে সরকার এগিয়ে এলে ব্যবসায়ীরা যেমন উপকৃত হবেন, পাশাপাশি বাড়বে সরকারের রাজস্ব অায় ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: