‘ইসি আন্তরিক হলে তাবিথ আউয়াল বিজয়ী হবেন’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, যদি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে নির্বাচন কমিশন আন্তরিক হয় তাহলে তাবিথ আউয়াল জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন-বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে গতরাতে বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন উপনির্বাচনে মেয়র পদে তরুণ, সমাজসেবক, দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রাপ্ত ও বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব তাবিথ আউয়ালকে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বিগত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেসময় তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিলেন। জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে তিনি নারী-পুরুষসহ সাধারণ ভোটারদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার প্রচারণায় মুগ্ধ হয়েছিলেন ঢাকাবাসী। কিন্তু যদি বিগত নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতো, যদি ভোট ডাকাতি না হতো তাহলে তাবিথ আউয়াল বিপুল ভোটে বিজয়ী হতেন। আপনারা দেখেছেন মাত্র দু’ঘন্টার ভোটে তাবিথ আউয়াল তিন লাখের অধিক ভোট পেয়েছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা ভোটের বাকি সময়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে জাল ভোটের মহোৎসব চালিয়ে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় মাত্র অল্প ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে।
রিজভী আরও বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে যেভাবে গ্রেফতার ও অত্যাচার-নির্যাতনের হিড়িক চলছে, যেভাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সপ্তাহের অধিকাংশ দিন মিথ্যা মামলায় হাজিরা দিতে হচ্ছে ও প্রতিদিন তাঁকে জামিন নিতে হচ্ছে, এসমস্ত অনাচারমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সরকার আদৌ সুষ্ঠু করবে কি না তা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। বর্তমান সিইসি আবারো আরেকটি নীল নকশা ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন সম্পন্ন করে কি না সে প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে। বর্তমান ইসির অধীনে সাম্প্রতিক কালের নির্বাচন গুলো হয়েছে সেরা প্রহসন। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি-ডিএনসি নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে দ্রুত লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির উদ্যোগ নিন। রাজনৈতিক সহাবস্থান তৈরি করার পদক্ষেপ নিন। ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকরা যাতে নির্ভয়ে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে সে ব্যবস্থা নিন। সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ভয়-ভীতিমুক্ত নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করুন। কারন এখন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে সুষ্ঠু পরিবেশের কোন আলামত নেই।
তিনি বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন-নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে বিএনপি। এখনও তারা নির্বাচনকালীন সরকারের রুপ রেখা দিতে পারেনি। পরিস্কার করে বলুন-আপনারা কোন ধরণের সরকার চান।
তিনি আরো বলেছেন-পরিস্কার করে বলছি-সংবিধানের বাইরে যেতে পারবো না, আর নির্বাচনকালীন সরকার সংবিধানের মধ্যেই রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের সাহেবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের শ্রবণেন্দ্রিয়তে সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু জাতি বারবার বিএনপিসহ বিরোধী দলের সুস্পষ্ট উচ্চারণ শুনেছে যে, বর্তমান সংসদ এবং প্রধানমন্ত্রীকে বহাল রেখে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সংকীর্ণ দলীয় চিন্তার বাইরে এক ধাপও ফেলেন না। বিরোধী দলকে তিনি শত্রু জ্ঞান করেন এবং বিরোধী মত ও সমালোচনায় তিনি অস্থির হয়ে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠেন। সুতরাং এধরণের মনোবৃত্তির প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কখনোই কোন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। একদেশদর্শী প্রধানমন্ত্রীর কোন গণতান্ত্রিক চেতনা নেই। আর গণতান্ত্রিক চেতনা ছাড়া মানবিকতা, সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব।
বিডি২৪লাইভ/এএইচআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: