অব্যাহত খুন, গুম, অপহরণ, হামলা-মামলা

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০১৮, ০৪:২৯ পিএম

রাঙ্গামাটিতে অশান্তির ঝড় এখনো থামেনি। প্রতিনিয়িত পাহাড়ে খুন, গুম, অপহরণ, হামলা মামলা যেন নিত্য দিনের সঙ্গী। এই নিয়ে বাঙ্গালি-পাহাড়ির মাঝে আতংক বিরাজ করছে। দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। কেন এই অপহরণ, কেন এই খুন সব মিলিয়ে পাহাড় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। 

শান্তি চুক্তির দুই দশক পেরিয়ে গেলেও পাহাড়ে এখনো অশান্তি ঝড় যেন বয়ে চলছে। গেল  ২০১৭ সালের ২ রা ডিসেম্বর শান্তি চুক্তির দুই দশক বর্ষপূতি পালনের পর পর যেন পাহাড়ে কিলিং মিশন শুরু করেছে। চলমান এ ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দলগুলোর অস্ত্র ও পেশি শক্তির প্রকাশ্য নেতৃত্ব। 

গত ২০১৭ সালে ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার একই দিনে জেলার নানিয়ারচর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অনাদি রঞ্জন চাকমা ও জুরাছড়ি উপজেলার আওয়ামীলীগের নেতা অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে  দুর্বৃত্তরা। আবার ৬ ডিসেম্বর জেলা সদরে মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণা খীসা এবং বিলাইছড়িতে আওয়ামীলীগের নেতা রাসেল মারমাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। 

এরপর থেকে পাহাড়ের মানুষ আতংকে ও অশান্তিতে বসবাস করছে। এই ঘটনা গুলোর পর পরই আওয়ামীলীগ থেকে প্রায় ৬ শতাধিক নেতা-কর্মী পদত্যাগ করছে এবং পুলিশ এ ঘটনায় ১৯ জনকে গ্রেফতার করে। এরপরও জেলার বিলাইছড়িতে ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি একদল মুখোশদারি সশস্ত্র সন্ত্রাসী উপজেলা আওয়ামীলগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বদ্বয় তঞ্চাঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে।

আবার চলতি বছরের ১৪ মার্চ বুধবার দুপুরে বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের উলুছড়িস্থ মাসকুমড়া নামক এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে সুনীল তঞ্চাঙ্গ্যা (০৯) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। সব মিলিয়ে পাহাড় রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে। অশান্তিতে বসবাস করছে পাহাড়ের মানুষ।

এদিকে পার্বত্যাঞ্চলে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর দুই দল (প্রসীত দল) এবং (গণতান্ত্রিক দল) । এই দুই দলের কোন্দলের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। ২০১৮ সালে ১০ মার্চ জেলার বাঘাইছড়িতে (ইউপিডিএফ)  প্রসীত দলের কালেক্টও নতুন মনি চাকমাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যা কান্ডের জন্য (ইউপিডিএফ)এর গণতান্ত্রিক দলকে দায়ী করা হচ্ছে। 

আবার সম্প্রতি ২০১৮ সালে ১৮ মার্চ দিন দুপুরে জেলার সদর উপজেলার কুদুকছড়ির আবাসিক এলাকা থেকে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নারী নেত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। দীর্ঘ ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন খোঁজ মিলেনি তাদের। 

তবে এই ঘটনায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন অপহৃত দয়া সোনা চাকমার পিতা বৃষধন চাকমা। এই ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) দলের নেতা তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাকে দায়ী করে গণমাধ্যমকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় ইউপিডিএফ (প্রসীত দল)।

বিডি২৪লাইভ/এমআরএম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: