‘মা ও ভাইয়াকে মেরে ফেলেছে’

প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০১৮, ০৯:৪১ পিএম

সিলেট নগরীর মিরাবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে ওই বাসা থেকে পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (১ এপ্রিল) নগরীর মিরাবাজার খারপাড়া এলাকায় বাড়ির নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মায়ের নাম রোকেয়া বেগম (৪০), ছেলের নাম রবিউল ইসলাম রুকন (১৬)। উদ্ধার হওয়া শিশুকন্যার নাম রাইছা (৫)। নগরীর বারুতখানার বাসিন্দা হেলাল আহমদের প্রথম স্ত্রী রোকেয়া। তিনি নগরীর একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। তার রুকন এবার দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে। শিশুকন্যাটি রোকেয়া বেগমের মেয়ে।

জানা যায়, খারপাড়া এলাকায় ওই বাড়ির নিচতলায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন রোকেয়া বেগম। তার স্বামী হেলাল আহমেদ সৌদি প্রবাসী। কয়েক বছর আগে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরেন। এরপর থেকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী পান্না বেগম ও তাদের নয় বছরের একটি পুত্র সন্তানকে নিয়ে নগরীর বারুতখানা এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। তবে পান্না বেগম জানিয়েছেন, তার স্বামীর সঙ্গে রোকেয়া বেগমের দীর্ঘদিন ধরে কোনো যোগাযোগ নেই।

নিহত রোকেয়ার ভাই জাকির হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকে আপা ও ভাগ্নের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। যোগাযোগ করতে না পেরে রবিবার সকালে আসার পর দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পাই। ধাক্কা দিলে রাইছা ভেতর থেকে বলে, মা ও ভাইয়াকে মেরে ফেলেছে।’ এরপর তিনি পুলিশে খবর দেন।

&dquote;&dquote;

বাসার মালিক সোলেমান আহমদ বলেন, ‘রোকেয়া বেগম বছরখানেক আগে তার বাসায় উঠেছিলেন। নারী ভাড়াটিয়া হওয়ায় তার বাসায় যাতায়াত তেমনটা ছিল না। বাসার অন্য ভাড়াটিয়ারাও এ ঘটনার কিছুই টের পাননি।’

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার পরিতোষ ঘোষ বলেন, ‘রহস্যজনক ঘটনা। পাশের ফ্লাটের লোকজনও টের পাননি। তদন্তের পর সব বলা যাবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘গত পরশু (শুক্রবার) রাতে হয়তো ঘটনাটি ঘটেছে। মহিলার গায়ে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় ছুরিকাঘাতও করা হয়েছে। আর ছেলেটাকে শ্বাসরুদ্ধ করে। জীবিত উদ্ধার শিশুকন্যার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনার সময় শিশুটি কিছুক্ষণ জ্ঞানহীন অবস্থায় ছিল। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হয়তো মহিলার সঙ্গে কারো ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত বিরোধের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’

‘তবে ঘটনার পর থেকে বাসার গৃহকর্মী লাপাত্তা রয়েছে। এদিকে শিশু রাইসার কাছ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা তদন্তে কাজে লাগতে পারে’ বলে জানান তিনি।

 

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: