‘তিনি আমায় রানী বলে ডাকতেন’

প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০১৮, ১২:৫৭ পিএম

মোহাম্মদ রনি খাঁ, 
গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

ক্যাম্পাসে চলছে ঈদ ছুটির আমেজ, বাতাসে বইছে ঈদ আনন্দের হাওয়া। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পরে এসেছে অপেক্ষার সেই মুহুর্ত। আবার এল খুশি, আবার এল আনন্দ, এল যে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

অন্যায়, প্রতারণা, অবিচার, হিংসা-বিদ্বেষ, ঘৃণা দূর করে ভালোবাসা, মায়া-মমতা, সুখ ও শান্তিময় জীবন ও সমাজ গড়ার আহ্বান নিয়ে এসেছে ঈদ। ‘ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক।’ এমনই মধুর আওয়াজ ভেসে আসছে পথ-প্রান্তর, মাঠ-ঘাট থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকে। সবাই নিজের স্বজন, বন্ধু-বান্ধবী থেকে শুরু করে ছোটবড় নির্বিশেষে মোবাইল-ফোনের ক্ষুদে বার্তা, ফেসবুক পোষ্টে, ফেসবুক ম্যাসেজের মাধ্যমে ভিন্নভিন্ন সুর-আমেজে জানাচ্ছেন ঈদ শুভেচ্ছা। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভেবেছেন ঈদ নিয়ে। বয়সের বিবেধ ভুলে সবাই বরণ করে নিচ্ছেন ঈদের আনন্দকে।   

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিরিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা আফরিনের মতে, ‘ঈদের আনন্দটা শুরু হয় চাঁদ রাত থেকে। মেহেদী পড়ার মাধ্যমেই যেন শুরু হয় ঈদের আনন্দ। ঈদের দিনের সবচেয়ে প্রিয় মূহূর্তটা হলো সকাল বেলা। ঈদের সকালটার মধ্যেই একটা আমেজ থাকে। আমি এখনো সালামি পাই। আর এটা আমার সৌভাগ্য বলা যেতে পারে। আর ছোটোবেলার ঈদকে অতটাও মিস করি না। কারণ আমি এখনো বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়স্বজন নিয়ে খুব ঘোরাঘুরি করি। তো এক কথায় বলতে গেলে আমার কাছে ঈদটা খুব জাঁকজমক। আমার রাজা, আমার নানা ভাইকে খুব মিস করি। তিনি আমায় রানী বলে ডাকতেন।’

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফিক্সিস ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিকুন নাহার সম্পার জানান, ‘ঈদ মানে নতুন কাপড়, ঈদ মানে ঘোরাঘুরি, খাওয়া-দাওয়া, সেই সাথে অনেক মজা করা। পড়তে না বসলেও আম্মু বকা দেয় না। ঈদে অনেক ধরনের সেমাই রান্না হলেও খুব বেশি ভালো লাগে লাচ্ছা সেমাই খেতে।’

দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনা শেষে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উৎসব যে আনন্দের বার্তা বয়ে আনে, তা যেন সারা বছর সবার জীবনে অটুট থাকে। এমন প্রার্থনাই করছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: