দৌলতদিয়ায় কর্মমুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০১৮, ০৮:৫৮ পিএম

দেশের দক্ষিণ পশ্চিমঞ্চলের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ঈদ শেষে কর্মমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে জীবিকার তাগিতে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। আর এতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় দীর্ঘ হচ্ছে যানবাহনের সারি। তবে সময় যত বাড়বে দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ ততই বাড়বে বলে ধারণা ঘাট কর্তৃপক্ষের।

শুক্রবার দুপুরে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট, ফেরি ঘাট ও বাস টার্মিনাল এলাকায় কর্মস্থলমুখী মানুষের এ চাপ দেখা যায়।

এদিকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকায় যাত্রীবাহী পরিবহন ও পন্যবাহী ট্রাককে নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে থাকতে দেখা গেছে। তাছাড়া বাইপাস সড়কে প্রায় শতাধিক প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসকে ফেরিতে উঠার অপেক্ষায় থাকতে দেখাগেছে।

অপরদিকে লোকাল যানবাহনের যাত্রীদের উপচে পড়া চাপ রয়েছে লঞ্চ ঘাটে। ঘাটে লঞ্চ কম থাকায় যাত্রীদেরকে ফেরিতে পারাপার হবার জন্য অনুরোধ করছেন লঞ্চ ঘাট কর্তৃপক্ষ।

যানবাহনের চালকরা জানান, রাস্তার ভাঙ্গা চোরা আর ঘাটের যানজটের তারা অতিষ্ট। গত কয়েক দিন ঘাট পরিস্থিতি ভাল পেলেও গতকাল বিকাল থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা সিরিয়ালে থাকতে হচ্ছে। এতে করে যানবাহনের যাত্রী ও তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যে ফেরিগুলো আছে সেগুলো সঠিক ভাবে চলাচল করলে দৌলতদিয়া প্রান্তে কোন যানজট হতো না। এই ভোগান্তি লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

যাত্রীরা জানান, ঈদ শেষ করে কর্মস্থলে ফিরছেন। তবে যানবাহনে ভাড়া কিছুটা বেশি নিলেও দৌলতদিয়ায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ থাকলেও নাই কোন ভোগান্তি। তারা নিরাপদে যেভাবে বাড়িতে ফিরেতে পেরেছিলেন সেভাবেই প্রিয়জনের সাথে ঈদ করে নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরছেন।

জেলা ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাস জানান, ঈদ শেষে সবাই এক যোগে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করায় দৌলতদিয়ায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা নদী পার হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘাট এলাকা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা কাজ করছেন।

দৌলতদিয়া ঘাট বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, দেশের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ  প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদে ঘরমুখো ও ঈদ শেষে কর্মস্থল মুখী মানুষ ও যানবাহন পারাপারে ১৯ টি ফেরি  ও ২১ টি লঞ্চ চলাচল করছে। 

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: