ঈদে ‘হটকেক’ মার্সেলের টেম্পারড গ্লাস ডোর ফ্রিজ
ঈদুল আজহায় ৭৬ মডেলের ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে টেম্পারড গ্লাস ডোরে তৈরি ১৬ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ। চোখ ধাঁধানো ডিজাইন ও উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন হওয়ায় সারা দেশে ব্যাপক চলছে ফ্রিজগুলো। বলা চলে, ঈদবাজারে হটকেকে পরিণত হয়েছে মার্সেলের গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটর।
এছাড়া, মার্সেলের ৫০-৫০ মডেলের (নরমাল ও ডিপ সমান আয়তনের) ফ্রিজও ভালো বিক্রি হচ্ছে। এবার ঈদ উপলক্ষে নতুন এসেছে মার্সেলের ১০ মডেলের ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদকে সামনে রেখে জুলাই ও আগস্ট মাসে ১ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছিল মার্সেল। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫২ শতাংশ বেশি। এরই মধ্যে টার্গেটের ৭৩ শতাংশ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। বিক্রির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ঈদে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ফ্রিজ বিক্রি হবে বলে আশাবাদী তারা।
জানা গেছে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ‘ঈদ আনন্দে মাতামাতি, মার্সেল দিচ্ছে নতুন গাড়ি’ এই স্লোগান নিয়ে জুলাই মাসের ২ তারিখ থেকে দেশব্যাপী ঈদ মেগা ডিজিটাল ক্যাম্পেইন শুরু করেছে মার্সেল। এর আওতায় প্রতিবার মার্সেল ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা নতুন গাড়ি, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ অসংখ্য পণ্য উপহার পাচ্ছেন। পাচ্ছেন নিশ্চিত ক্যাশব্যাকও। ক্রেতারা এসব সুবিধা পাবেন কোরবানির ঈদ পর্যন্ত।
মেগা ক্যাম্পেইনের আওতায় চলতি মাসের ২ তারিখে মার্সেল ফ্রিজ কিনে ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি পেয়েছেন মেহেরপুরের গৃহিণী রোকসানা খাতুন। উপহার পাওয়ার পরের দিনেই তার হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন গাড়ির চাবি।
মার্সেলের হেড অব সেলস ড. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, সাধারণ প্রয়োজনের পাশাপাশি কোরবানির গোস্ত সংরক্ষণের জন্য প্রতিবছরই ঈদুল আজহায় দেশে ফ্রিজের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। এই বাড়তি চাহিদা পূরণে রোজার পরপরই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। এরইমধ্যে গত মাসে (জুলাই) বিক্রি হয়েছে ৫১ হাজার ফ্রিজ। চলতি মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় ২২ হাজার। কোরবানি ঈদের আগমুহূর্তে বিক্রি আরো বাড়বে। সব দিক বিবেচনায় এই ঈদে গ্রাহকদের কাছ থেকে আশানূরূপ সাড়া পেয়েছেন তারা।
ঈদে উচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন ৭৬ মডেলের ফ্রিজ প্রদর্শিত ও বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫৯ মডেলের ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ২ মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর ও ১৫ মডেলের ডিপ ফ্রিজ। ফ্রস্ট ফ্রিজে নতুন যুক্ত হয়েছে টেম্পারড গ্লাস ডোরের ৩১২ লিটার, ৩১৭ লিটার, ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ৩৬৫ লিটার ও ২৫৪ লিটারের ফ্রিজ। ঈদ উপলক্ষে ফ্রস্টের পাশাপাশি ডিপ ফ্রিজেও যুক্ত হয়েছে ১৪৫ লিটার ও ২০৫ লিটারের টেম্পারড গ্লাস ডোরের ফ্রিজার।
বিক্রেতারা জানান, ঈদে হটকেকে পরিণত হয়েছে মার্সেলের ২৩৮ লিটার, ২১৩ লিটার ও ২৯৫ লিটারের গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটর। এছাড়া, ৫০-৫০ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজও ভালো বিক্রি হচ্ছে। এই মডেলটিতে নরমাল অংশের সমান বড় ডিপ থাকায় গ্রাহকদের আলাদা করে ডিপ ফ্রিজ কিনতে হচ্ছে না। লাগবে না স্ট্যাবিলাইজার।
মার্সেল ফ্রিজের প্রকৌশলীরা জানান, বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে যুগোপযোগী মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। মার্সেল ফ্রিজের কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে কিউসি পাস নিয়ে পণ্য বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, আন্তর্জাতিক মান, সাশ্রয়ী দাম, বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও কালার, ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টিসহ কম্প্রেসারে ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি সুবিধা, সহজ কিস্তি সুবিধা, দেশব্যাপী বিস্তৃত সার্ভিস পয়েন্ট থেকে সর্বোত্তম ও দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ায় ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পাচ্ছে মার্সেল ফ্রিজ। ফলে প্রতিবছরই উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে মার্সেল ফ্রিজের বিক্রি ও মার্কেট শেয়ার।
আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের আওতায় দেশব্যাপী ৭০টিরও বেশি সার্ভিস সেন্টার থেকে বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়া হচ্ছে। হোম সার্ভিসও দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকরা যেকোনো মোবাইল থেকে ১৬২৬৭ নম্বরে কল করে বছরের ৩৬৫ দিনই পাচ্ছেন কাঙ্ক্ষিত সেবা। তথ্যপ্রাপ্তির পর গ্রাহকের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সার্ভিস প্রোভাইডার। মার্সেলের এই সেবা এরইমধ্যে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে।
বিডি২৪লাইভ/এমএম/এমআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: