কোরবানির ঈদে বেড়েছে কামারদের ব্যস্ততা !

প্রকাশিত: ১৬ আগষ্ট ২০১৮, ০৮:৪৮ পিএম

পবিত্র ঈদুল-আজহা সামনে রেখে ঝালকাঠির কামারেরা নাওয়া খাওয়া ভুলে গিয়ে অবিরাম কাজ করছেন। শুধু ঝালকাঠি জেলা ঝুড়ে নয় জেলার সব উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কামারপাড়া গুলো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ঈদুল-আজহা উপলক্ষে। সরগরম টুংটাং শব্দে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কামারেরা। দিন থেকে রাতঅব্দি সমান তালে তারা ব্যস্ত ছুরি, চাপাতি, দা, বটি, ছোট চাকু নতুন করে তৈরি ও শান দেয়ার কাজে। 

কোরবানির ঈদ যতই এগিয়ে আসছে ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন জেলার সর্বত্র কামাররা। ক্রেতারাও তাদের পছন্দের ছুরি, চাপাতি, কুড়াল, ছেনা, বটি ও মাংস কাটার জন্য গাছের গুলের টুকরো কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে বিগত সময়ের তুলনায় বর্তমানে এসব সরঞ্জামের দাম একটু বেড়ে গেলেও ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী হাসি মুখেই ক্রয় করছেন। 

&dquote;&dquote;সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কামাররা। ভোরের আলো ফোটার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটানা কাজ করে যাচ্ছেন তারা। অনেক কামার পল্লীতে অতিরিক্ত চাপের কারনে নতুন অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে অনেক কামার দোকানী। সারা বছর কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদের এ সময়টা বরাবরই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও লোকজন ভীড় করছেন তাদের দোকানে। কামারের দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে গরু, ছাগলসহ বিভিন্ন পশু জবাইয়ের উপকরণ। প্রতি বছর কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দা, ছুরি, চাপাতি ও ছোট ছোট চাকু (ছুরি) ব্যাপক চাহিদা বেড়ে যায়। 

কারিগররা জানান, সারা বছর যত পন্য বিক্রি হয় এই ঈদেই বিক্রি হয় তার চেয়ে বেশি। কারণ পশু জবাই করার জন্য ধারালো অস্ত্রের প্রয়োজন। আর পুরাতন এইসব অস্ত্র অনেকেই রাখেন না। সেই জন্য প্রতি বছর নতুন নতুন অস্ত্রের প্রয়োজন পরে। 

&dquote;&dquote;কামার ব্যবসায়ী সুনিল দাস ও সনাতন কর্মকার জানান, সারা বছর কাজ খুব কম থাকে। কোরবানির ঈদ এলে কাজ ও বিক্রি বেড়ে যায়। প্রতিটি দা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা, ছোট ছুরি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, বটি ৩০০ টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে লোহার পাশাপাশি স্প্রিং কিংবা স্টিলের ছুরি চাকুও লোকজনকে আকৃষ্ট করছে বলে জানান। 

কামারপাড়ায় দা, বটি ক্রয় করতে আসা ফারুক আহম্মদ জানান, দুটো বটি ৮৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করলাম। দামটা একটু বেশিই মনে হল অন্যান্য বছরের তুলনায়। কদিন পরই ঈদ তাই দামটা একটু বেশি হলেও বাধ্য হয়েই ক্রয় করতে হচ্ছে বলেও জানান। 

&dquote;&dquote;এদিকে, নতুন সরঞ্জামাদি কেনা ও মেরামত বাবত একটু বেশি মূল্য ধরার বিষয়ে কামার দোকানীদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, বর্তমানে কয়লা ও রডের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাধ্য হয়েই আমাদের ও মূল্য একটু বৃদ্ধি করতে হয়েছে। 

কামার উত্তম চন্দ্র দাস কাছে শাণ দেয়ার মজুরি জানতে চাইলে তিনি জানান, দা-ছুরি অনুযায়ী ৬০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। তবে ঈদ ছাড়া অন্য সময় একটু কম রাখা হয় বলে জনান।

 বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: