কাদের সাহেব একটা মারাত্মক কথা বলেছেন

প্রকাশিত: ১৭ আগষ্ট ২০১৮, ০২:৫৪ পিএম

শুধু নিরাপদ সড়ক নয়, নিরাপদ বাংলাদেশের লক্ষ্যে দেশকে স্বাধীন করার জন্য সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য দেশকে স্বাধীন করতে হবে।

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে এক আলোচনায় এসব বলেন ফখরুল। সাংবাদিক নির্যাতনবিরোধী এ সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাতের আঁধারে মেয়েদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের অপরাধ তারা নাকি ছেলেদের আন্দোলনে উস্কানি দিচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ তো সব সময় করে তারা। আজকেও তারা মানববন্ধন করে বলেছে আমরা নাকি উস্কানি দিচ্ছি। আমরা তো প্রথম দিন থেকেই সমর্থন দিয়েছি। প্রকাশ্যে ছাত্রদের এই ন্যায় সঙ্গত যুক্তি সংগত আন্দোলনকে সমর্থন করেছি। সেই সমর্থন অব্যাহত রেখেছি। আমরা ছাত্রদের এই কোটা আন্দোলন , নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলনকে আমরা অবশ্যই সমর্থন জানাবো এবং জনগণকে আহ্বান জানাবো যে শুধু এই নিরাপদ সড়ক নয়, নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য আপনারা এগিয়ে আসুন, আপনারা জেগে উঠুন এবং আপনার দেশকে স্বাধীন করুন।

আজকে সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দাবি করে ফখরুল বলেন, আমরা অবশ্যই আমাদের দেশকে, দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজনৈতিক দল গুলোর দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি, এজন্য আমরা প্রথম থেকে বারবার বলে আসছি, আমাদের নেত্রী জেলে যাওয়ার পূর্বে মিটিংয়ে বলে গেছেন আসুন আমরা দল মত নির্বিশেষে এক হয়ে এই যে দানব আমাদের বুকের ওপর ভর করে বসে আছে এই দানবকে আমরা সরিয়ে দেই। যেদেশে প্রধান বিচারপতিকে বন্দুকের মুখে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়, সেদেশে আপনি কি আশা করছেন? একটা মেয়ের বেল পিটিশন করেছে, সেটা কোর্ট থেকে রিজেক্ট করেছে। তার কি অপরাধ? সেকি খুনি না ডাকাত? সেকি চোরাচালানি, সেকি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে? তার আজকে আপনি জামিন আবেদন বাতিল করে দিচ্ছেন। যেসমস্ত ছেলেমেয়েরা ঢাকার বাইরে থেকে এসে কষ্ট করে মেসে থেকে লেখাপড়া করছে, তাদের রিমান্ড বাতিল করা যাবেনা বলছেন। আর যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে, স্টক মার্কেট লুট করেছে তাদের প্রতিবেদন পর্যন্ত প্রকাশ করেন না। কারণ তারা সবাই আপনাদের লোক।

খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাফরুল্লাহ সাহেব ঠিক বলেছেন। তিনি সব জায়গায় বিএনপির ভুত দেখতে পান, তিনি সব জায়গায় জিয়া পরিবারের ভুত দেখতে পান। নাহলে সেই ১৯৭৫ সালের ঘটনায় কিভাবে তিনি খালেদা জিয়াকে যুক্ত করেন জোর করে। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে তার সঙ্গে যুক্ত করেন। আর যা আসে মুখে তাই তিনি বলছেন। আমরা এই কথাগুলো বলতে চাই না। আমরা বলতে চাই আপনি রাজনীতিবিদ, আপনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। আপনার মুখ দিয়ে এধরণের অর্বাচীন কথাবার্তা কখনোই শোভা পায় না। কিন্তু এটা আপনার স্বভাব। আপনি আপনার স্বভাবের মধ্যে দিয়ে এধরনের হাস্যকর অর্বাচীন কথাবার্তা বলেন। দয়া করে এ ধরণের কথা বার্তা বন্ধ করুন। আমরা তার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দয়া করে সঠিক পথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

আওয়ামীলিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ১/১১ র পদধ্বনি শুনতে পারছি - এর প্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি একটি মারাত্মক কথা বলেছেন। তিনি ১/১১ র পদধ্বনি তিনি শুনতে পারছেন। এরপরও আপনারা সরকারে আছেন? এখনও পদত্যাগ করছেন না? সরকার তো আপনাদের আর আপনারা ১/১১ র পদধ্বনি শুনতে পারছেন? আমাদের একটা যথা ভুলে গেলে চলবেনা। এই ১/১১র বেনিফিশিয়ারী কিন্তু আওয়ামীলীগ। এতটাই বেনিফিশিয়ারী কে তাদের নেত্রী বিদেশ যাওয়ার আগে বলেছিলেন আমরা এই ফখরুদ্দিন মঈনুদ্দিন সরকারের সব কর্মকান্ডের বৈধতা দিবো। দিয়েছিল, পার্লামেন্ট এ আইন পাশ করেছে। এরপর আপনারা ১/১১ শুনতে পারছেন কেন?

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।

বিডি২৪লাইভ/এমএন/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: