শোকের মাসে উল্লাস, ছাত্রলীগের নিন্দা

প্রকাশিত: ২৫ আগষ্ট ২০১৮, ০৮:৪১ পিএম

শোকের মাসে ৭০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের নামে বিএনপি ও বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জিল্লার রহমানের নেতৃত্বে ও পৃষ্ঠপোষকতায় আনন্দ উল্লাস ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।

শনিবার (২৫ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও প্রয়োজনীয় শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রেজা ইমন, সাধারণ সম্পাদক ডা. সাঈফ জামান আনন্দ,

শিবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিজভী আহমেদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিফ আহসান, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কৌশিক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, নাচোল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান উজ্জল, গোমস্তাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাওসার আহমেদ সাগর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান পরশ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল জামান মাসুদ, শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান হিমেল, সাধারণ সম্পাদক আলী রাজসহ অন্যরা। মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীরা অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তারা এ ঘটনার দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।

উল্লেখ্য, শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাইস্কুলের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ঈদের পরদিন গত বৃহস্পতিবার বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জিল্লার রহমানের নেতৃত্বে ও পৃষ্ঠপোষকতায় আলোক শয্যা ও আতশ বাজির রঙ্গমঞ্চে নাচ-গান ও উল্লাস এবং মহা উৎসব হয়। এ ঘটনা নিয়ে জেলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং এর প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলেও ছাত্রলীগ প্রতিবাদলিপি প্রদান ও মানববন্ধন করে।

জেলা ছাত্রলীগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রেজা ইমন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সাঈফ জামান আনন্দ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, বাঙ্গালি জাতির রক্তে ঝরা শোকের মাস এই আগস্ট। এই মাসে ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারবর্গকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় এবং এই শোকের মাসেই শেখ হাসিনাকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়। সেই হামলায় আইভি রহমানসহ অনেকে প্রাণ হারায় এবং সহস্রাধিক নেতা-কর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

‘আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণে বাঁচানোর জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মানব প্রাচীর গড়ে তোলে প্রাণ রক্ষা করে এবং ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে জামায়াত-বিএনপির মদদে সিরিজ বোমা হামলা করে। আমাদের শোকের মাসে গত ২৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জিল্লার রহমানের সভাপতিত্বে এবং সার্বিক তত্তাবধানে শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাইস্কুলে আলোকসজ্জা ও আতোশবাজীর মাধ্যমে রঙ্গমঞ্চ তৈরি করে নাচ-গানের আয়োজন করেন।’

‘উক্ত মহোৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি ও বর্তমান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিঞা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী আজিজুল হকের ছেলে নৌকা প্রতিকের বিদ্রোহী প্রার্থী কারিবুল হক রাজিন।’

যেখানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কালো ব্যাচ ধারণ করে শোকের মাস পালন করছে, সেখানে সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিল্লার রহমানের এমন এক অনুষ্ঠানের আয়োজনে জেলা ছাত্রলীগ ও এর সকল ইউনিট তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: