মুক্তাগাছায় দুই পক্ষে চরম উত্তেজনা

প্রকাশিত: ২৮ আগষ্ট ২০১৮, ০৪:৩৯ পিএম

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় থানায় মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে এলাকাবাসীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বলবাড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকার আয়নাল হক নামের এক ব্যক্তি ওই এলাকার উত্তরপাড়ার লোকজনের বিরুদ্ধে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া ও মারধরের মিথ্যে অভিযোগে এনে থানায় অভিযোগ করেছেন।

এ নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। যেকোন সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আশংকা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, বলবাড়ি উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ার লোকজন মিলে বলবাড়ি এলাকায় একটি ঈদগাহ মাঠ প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে সেখানে তারা ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে। হঠাৎ দক্ষিণপাড়ার লোকজন ২০-৩০জন লোক নিয়ে আলাদা একটি মাঠ প্রতিষ্ঠা করে ইদুল আজহার নামাজ আদায় করে। পরে এ নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জের ধরে দক্ষিণপাড়ার লোকজন উত্তরপাড়ায় দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়।

এছাড়াও বলবাড়ি উত্তর পাড়া এলাকার মোজাম্মেল হক ও তার ভাইয়েরা তাদের পুকুর পাড়ে পুকুরের মাছ চুরি ফেরাতে ও পাড় টেকসই রাখার জন্য বাঁশ দিয়ে বেড়া দেন। সরকারি রাস্তা ব্যবহার না করে দক্ষিণপাড়ার লোকজন এ পুকুরের পাড়কে দীর্ঘদিন ধরে জোড় পূর্বক ব্যবহার করে আসছে। পরে পুকুর পাড়ে বেড়া দেখে দক্ষিণ পাড়ার নূরুল ইসলাম মাস্টার, জুলহাস, আনাম, কামাল ও আয়নাল গংরা ক্ষিপ্ত হন। তাদের বেড়া তোলে দেয়ার জন্য হুমকি দেন। কিন্তু মোজাম্মেলরা পুকুর পাড়ের বেড়া তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে করে দক্ষিণপাড়ার লোকজন তাদের বিভিন্ন সময় মারধরসহ মামলার হুমকি প্রদান করে আসছে। উত্তর পাড়ার লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উত্তরপাড়া এলাকার মোজাম্মেল হক জানান, আমার পুকুরের মাছ চুরি ঠেকাতে, পাড়ের গাছ বাঁচাতে এবং পাড়ের ভাঙ্গন রোধে আমি পুকুরের পাড়ে বাঁশের বেড়া দেই। দক্ষিণপাড়ার লোকজন এতোদিন জোড়পূর্বক আমার পুকুরের পাড় ব্যবহার করে আসছিল। পাড়ে বেড়া দেখে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে বেড়া উঠানোর জন্য জোড় করে। বেড়া না উঠালে আমাকে মারধরসহ মামলার হুমকি প্রদান করে। সরকারি রাস্তা পরে আছে। তারা সে রাস্তা ব্যবহার না করে জোর করে আমার পুকুরের পার ব্যবহার করতে চায়। তারা মিথ্যা বিভিন্ন পরিবার অবরুদ্ধ বলে মিথ্যা অভিযোগ করে। অথচ এখানে কোন একটি পরিবারকেও অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেনি। তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করে আমাদের মানসম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্ঠা করছে। তারা নিজেরাই তাদের বাড়ির সামনে বেড়া দিয়ে পরে আবার তা উঠিয়ে রাখে। তাদেরকে মারধর করা হয়েছে বলে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে।

উত্তরপাড়া এলাকার আরেক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বুল্লা অভিযোগ করে বলেন, দক্ষিণপাড়ার লোকজন তাকে রাস্তায় আটকিয়ে মারধরের হুমকি ও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। দক্ষিণপাড়ার আয়নাল হক বলেন, উত্তর পাড়ায় আমার পুকুরে মাছের খাবার দিতে যাওয়ার সময় তারা আমাকে মারধর করে বিধায় আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন আলী হুসি বলেন, এই দুই পাড়ার মাঝে ঈদগাহ মাঠ ও গোরস্থান নিয়ে একটি বিরোধ বাঁধে। তবে আমি তাদের সকলকে বিভেদ ভুলে একসাথে পূর্বের মতো চলার আহবান জানাই।

মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আহমেদ মোল্লা বলেন, ওই এলাকার দুই পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর একজন অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ছিলাম। যাতে কোন হানাহানির ঘটনা না ঘটে সে জন্য দুই পক্ষকেই শান্ত থাকার কথা বলা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: