বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে 

প্রকাশিত: ২৮ আগষ্ট ২০১৮, ১০:৩৬ পিএম

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন ছিল জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করা। ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মানে বঙ্গবন্ধু আজন্ম লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন আপোষহীন, অন্যায়ের কাছে তিনি কখনো মাথা নত করেননি। বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: আবদুর রব হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি স্পিকার মো: ফজলে রাব্বী মিয়া এবং চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এবং মো: শাহাবুদ্দীন এমপি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

স্পিকার বলেন, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শৈশব থেকেই টুঙ্গিপাড়ার খোকা ছিলেন অকুতোভয় ও মানবপ্রেমী। সংগ্রামী জীবনে জেল-জুলুম এবং অত্যাচার সহ্য করে তিনি বাঙ্গালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হওয়ার নেপথ্যের মূল কারিগর ছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এক অঙ্গুলির হেলনে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার আপামর জনতা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙ্গালি জাতি ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল পতাকা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন কিন্তু ঘাতকরা তা বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। ১৯৭৫সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি ইনডেমনিটির মত কালো আইন করে ঘাতকদের রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘাতকদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এসময় তিনি মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শকে জানার ও ধারণ করার জন্য সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি উদাত্ত্ব আহবান জানান।

এ সময় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে স্বরচিত গান পরিবেশন করেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার পরিচালক মো: তারিক মাহমুদ এবং কবিতা আবৃত্তি করেন পরিচালক এস এম মঞ্জুর ও কাজী রোজী এমপি।পরে জাতির পিতাসহ ১৫আগস্টের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিডি২৪লাইভ/আরএইচ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: