পরকীয়ার জেরে স্বামীর ঘর ছেড়েছিল সাথী, এরপর...
বুধবার মধ্যরাতে যশোরে সরকারি সিটি কলেজের মসজিদের পাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পলিথিনে মোড়ানো একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে উদ্ধার হলেও বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাতে ওই তরুণীর বাবা আমজেদ আলী তার পরিচয় শনাক্ত করেন।
তিনি জানান, দেড় মাস আগে সাথী স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরকীয়া প্রেম নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধের পর তিনি ঘর ছেড়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে তারা উৎকট গন্ধ পেয়ে সিটি কলেজ মসজিদের কাছে ডোবার পাশে আসেন। সেখানে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে তাদের সন্দেহ বাড়ে। এরপর স্থানীয় শান্তিশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরাও সেখানে আসেন। তারা এসে নিশ্চিত হন মরদেহ পলিথিনে মোড়ানো রয়েছে।
সম্প্রতি সাথীর স্বামী গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংকে চাকরিরত এলাকার এক যুবকের সঙ্গে সাথীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সাথীর স্বামী চৌগাছা থানায় অভিযোগ করেন।
ওই থানার এএসআই আবদুল আলিম বিষয়টি মীমাংসাও করে দেন। কিন্তু মীমাংসার পরদিনই সাথী বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে স্বামীর বাড়ি থেকে রওনা হন। এরপর আর তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সাথীর বাবা আমজাদ আলী বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় একটি জিডিও করেছিলেন। কিন্তু দেড় মাসেও সেই জিডির কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার টেলিভিশনের সংবাদ ও ছবি দেখে সাথীর পরিবার কোতোয়ালি মডেল থানায় আসেন। তাদের কাছে থাকা ছবির সাথে পুলিশের তোলা লাশের ছবি মিলিয়ে আমজাদ আলী নিশ্চিত হন নিহত তরুণী তার মেয়ে সাথী আক্তার।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বুধবার রাত ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে পলিথিনে মোড়ানো মানুষের মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ। ওই তরুণীকে খুন করে হাত-পা বেঁধে পলিথিন বন্দি করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে অন্য কোথাও হত্যা করে হতভাগ্য তরুণীকে কলেজ ক্যাম্পাসে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড আর এর সঙ্গে কারা জড়িত তা পুলিশ এখনো জানতে পারেনি।
রাত ২টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার নিহত তরুণীর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর বিকাল পর্যন্ত তার কোনো পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় লাশটি আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকালেই সংগঠনটি লাশ দাফন সম্পন্ন করে।
তবে বৃহস্পতিবার দাফন হওয়া সাথীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে নেয়ার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছেন আমজাদ আলী। এ বিষয়ে তিনি বাদী হয়ে মামলাও করতে রাজি হননি। সে কারণে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মামলা দায়ের করা হবে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
বিডি২৪লাইভ/এইচকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: