ফাঁদে ফেলে ‘নগ্ন ছবি’ তুলে টাকা আদায়, অতঃপর... 

প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:৪৩ পিএম

গোপালগঞ্জে ব্যবসায়ীদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ‘নগ্ন ছবি’ তুলে টাকা আদায় চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
 
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে শনিবার গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিলফা গ্রামের ফরিদ মোল্লার ছেলে কামরুল ইসলাম মোল্লা (৫০), একই গ্রামের জামাল মোল্লার ছেলে সোহাগ মোল্লা (২৮), গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকদাহ গ্রামের সিরাজুল হক সিকদারের ছেলে রইচ শিকদার (৩৪), গোপালগঞ্জ শহরের নবীনবাগ এলাকার লুৎফর রহমান সিকদারের ছেলে মো: সাইফুল ইসলাম সিকদার (৫০) ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে সায়েরা আজিজ তিথি (১৮)।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বিডি২৪লাইভকে জানান, প্রতারক চক্র মালামাল ক্রয় ও ট্রাক ভাড়া নেয়ার কথা বলে জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিলফা গ্রামের ফরিদ মোল্লার ছেলে কামরুল ইসলামের বাড়িতে ডেকে নিতেন। সেখানে প্রতারকদের পাতা ফাঁদে আটকে যেতেন ব্যবাসয়ীরা। এ চক্রের অন্য সদস্যের সহযোগিতায় নারী সদস্য ‘নগ্ন’ হয়ে ব্যবসায়ীর সঙ্গে ছবি তুলতেন ও ভিডিও ধারণ করতেন। পরে তারা ফাঁকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে আসছিলেন।

মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন আরও জানান, প্রতারণার শিকার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোয়ালীয়া বাজারের সিমেন্ট ব্যবসায়ী রিপন ফকির ও চন্দ্রদিঘলীয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য গাজী আনিচের অভিযোগ পেয়ে মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
 
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রতারণার মাধ্যমে ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যবসায়ীর নিকট থেকে এভাবে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রতারণার শিকার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোয়ালীয়া বাজারের সিমেন্ট ব্যবসায়ী রিপন ফকির ও চন্দ্রদিঘলীয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে সদস্য গাজী আনিচ জানান, তাদের ব্যবসায়ীক কাজের কথা বলে নিলফা গ্রামের কামরুল ইসলাম মোল্লার বাড়িতে ডেকে নেয় প্রতারক চক্র। তারপর প্রতারক চক্রের সদস্যরা জোর করে নগ্ন নারীর সাথে ছবি তোলে ও ভিডিও ধারণ করে। এসব কাজ শেষে মারপিট করে তাদের কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায় করে নেয়। এরপর তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা আদায় করে এ চক্র।


বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: