চলনবিলে নৌকাডুবি, আরো দুইজনের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:০০ এএম

পাবনার চাটমোহরের চলনবিলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ বাকি দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস দলের কর্মীরা। এ নিয়ে নিখোঁজ মোট ৫ জনেরই লাশ উদ্ধার করা হল। আর এর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটলো উদ্ধার অভিযানের।

রোববার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭ টার দিকে চলনবিলের সমাজ এলাকা থেকে বাকি দু’জনের মধ্যে ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন গণি’র এবং ঘন্টাখানেকের ব্যবধানে হান্ডিয়াল এলাকার ভাঙ্গাজোলা এলাকায় ঈশ্বরদীর আমবাগান এলাকার ব্যবসায়ী স্বপন বিশ্বাসের লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাদের দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পরে লাশ দেখে সনাক্ত করেন মৃতদের স্বজনরা। 

চাটমোহর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল সাতটার দিকে সমাজ এলাকা থেকে বিল্লাল গণি’র লাশ এবং সকাল আটটার দিকে স্বপ্নন বিশ্বাসের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছিল ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরী দল। শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ঈশ্বরদীর মোশারফ হোসেন মুসার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন পারুলের লাশ এবং দুপুর দেড়টার দিকে স্বপন বিশ্বাসের শিশুকন্যা সাদিয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুর্ঘটনা কবলিত নৌকাটিও উদ্ধার করা হয়ে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, এর আগে গত শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে উদ্ধার করা হয় ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন গণি’র স্ত্রী মমতাজ পারভীন শিউলীর লাশ। সবগুলো লাশ উদ্ধারের পর উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যার পূর্বে চলনবিলের চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল পাইকপাড়া ঘাট এলাকায় নৌকার ছইয়ের ওপর দাঁড়িয়ে মোবাইলে সেলফি তোলার সময় ছই ভেঙ্গে নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন প্রথমে চাটমোহর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ও স্থানীয় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। পরে রাত ১১টার দিকে রাজশাহীর একটি ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পানিতে নেমে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।

এদিকে, খবর পেয়ে শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও উদ্ধার তৎপরতার খোঁজখবর নেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন। জেলা প্রশাসক পরিদর্শন শেষে মৃতদের প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এছাড়া প্রথম উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া সুমন হোসেনকে নগদ ৫ হাজার টাকা ও তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন জেলা প্রশাসক।

অপরদিকে, এই দুর্ঘটনার পর রাতেই সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) তাপস কুমার পাল, থানার ওসি প্রশাসন মো. বদরুদ্দোজা, হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমারের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছিল।

বিডি২৪লাইভ/এমকে
 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: