রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের আনাচে-কানাচে!
মিয়ানমার থেকে সেদেশের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও রাখাইনের কট্টর বুদ্ধদের নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ঠেঙ্গার চর নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর অবস্থানের পর ঠেঙ্গারচর বিরোধী কয়েকটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ঠেঙ্গার চর নিয়ে যাওয়া ঠেকাতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে বলে ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়াও ঠেঙ্গারচর নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা প্রভাবশালী মহল ও দালালদের সহয়তায় সুযোগ বুঝে যে যেভাবে পারছে ক্যাম্প এলাকা ছেড়ে গাড়ী যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাড়ি জমাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ওপর আইনশংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
সরেজমিন বালুখালী ও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে দেখা গেছে, মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে এদেশে আসা রোহিঙ্গারা বালুখালী,কুতুপালং ক্যাম্প সহ সরকার নির্ধারিত ২০ টি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। দেশী-বিদেশী এনজিওগুলো এসব রোহিঙ্গাদের সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। সরকার উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ঠেঙ্গারচর নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়।
এ লক্ষ্যে ঠেঙ্গারচরে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। অল্প কিছু দিনের মধ্যে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ঠেঙ্গারচর নিয়ে যাওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় জানান। সরকারের নীতি নির্ধারকদের কঠোর মনোভাবের পর থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী দালাল ও তাদের নিয়োজিত রোহিঙ্গারা ঠেঙ্গারচর বিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঠেঙ্গারচর নিয়ে রোহিঙ্গাদের ভেতর ঠেঙ্গারচর বিরোধী মনোভাব তৈরির পাশপাশি আর্ন্তজাতিক ভাবেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উক্ত প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এতে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা কযেকটি এনজিও সংস্থাও জড়িয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় জনগণের অভিযোগ। সরকার ঠেঙ্গার চর নিয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় সুযোগ বুঝে ক্যাম্প ছেড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা।
অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাসকারী নিকটাত্মীয় স্বজনদের কাছে যাওয়াসহ মিশে যাচ্ছে লোকালয়ে। অসংখ্য রোহিঙ্গা পরিবার প্রতিদিন ক্যাম্প ছেড়ে অন্যত্রে চলে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটির সেক্রেটারি মোহাম্মদ নুর জানায়, অন্যান্য ক্যাম্প থেকে কুতুপালং ক্যাম্প ঠিকানায় এসে রোহিঙ্গারা প্রথমে কয়েকদিন আশ্রয় নিলেও পরবর্তীতে অধিকাংশ রোহিঙ্গা কাউকে না জানিয়ে অন্যত্রে চলে যাচ্ছে।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারা অবাধ বিচরণ করার সুযোগ পেয়ে তাদের পছন্দের জায়গায় চলে যেতে সক্ষম হচ্ছে। যেহেতু এসব রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তেমন কোন দায় দায়িত্ব নেই বললেই চলে।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গারা তাদের ইচ্ছামত চলাফেরার সুযোগ পেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাড়ি জমাচ্ছে। এমনকি বিদেশেও অনেক রোহিঙ্গা চলে যাচ্ছে। রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে নিরাপদ অবস্থান নেওয়াটা দেশ ও জাতির জন্য একদিন হুমকি হয়ে দাড়াঁতে পারে। তাই প্রশাসনের উচিত এই মূহুর্তে অনুপ্রবেশকারী অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করা ।
বিডি২৪লাইভ/এমকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: