ভোট নিয়ে ইসির যত প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:০৭ পিএম

আগমী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের কথা জানিয়ে বক্তব্য রাখলে এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। 

নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

তবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে বিকল্প হিসেবে ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারির কথাও চিন্তায় রাখছে কমিশন। নভেম্বরের মাঝামাঝিতে তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনাও রয়েছে ইসির।

এদিকে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলোও। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থীর তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। 

অন্যদিকে দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের কথা বললেও বিএনপি ভিতরে ভিতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে প্রার্থী তালিকা রয়েছে। 

পাশাপাশি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এরই মধ্যে তিনশ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ছোট অন্য দলগুলোও বসে নেই, সবাই যার যার মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নূরুল হুদার কমিশনের সামনে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোটের সম্ভাব্য সময় ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভোট করা হতে পারে। তবে কোনো টাইম ফ্রেম নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে একটা সময় ধারণা করা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের যত প্রস্তুতি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোর প্রস্তুতি চলছে নির্বাচন কমিশনে। গত বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত করা হয়েছে ভোট কেন্দ্রের তালিকা। সংসদীয় আসনের সীমানা অনুযায়ী ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুতির কাজও শেষ। চলতি মাসের মধ্যে নির্বাচনী আইন সংস্কারের কাজও শেষ করতে চায় ইসি। 

আগামী সংসদ নির্বাচনে আংশিকভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সেই সংশোধিত আরপিও ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলেছেন, অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকারের সময় শুরুর পরে ভোটের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে নভেম্বরের শুরুতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ইসি। এরপরে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিলের সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ দিকে বা জানুয়ারির শুরুতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নভেম্বরের শুরুতে বা মাঝামাঝিতে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: