বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়াই চলছে এলপি গ্যাস ব্যবসা!

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:০০ এএম

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাস্তাঘাট বাজার এলাকা ও সড়কের মোড়ে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার। বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই নীতিমালা লংঘন করে শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে উপজেলা অর্ধশতাধিক দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্য পদার্থ পেট্রোল। ফলে যে কোন সময় বিস্ফোরণ ও প্রাণ হানীর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এলপি গ্যাস প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সনদ নিলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা সিলিন্ডার মজুদ আইন অনুসরন করছে না। ব্যবসা পরিচালনার জন্য সাধারণ ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করলেও ১০টির বেশি সিলিন্ডারে আবশ্যকীয় সনদ তাদের নেই।

অনুসন্ধানে দেখা যায় মুদি দোকান, হার্ডওয়্যার দোকান, ক্রোকারিজ, কসমেটিক্স ও ওষুধের দোকান মালিকেরা পর্যন্ত খোলামেলা অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে আসছেন। এছাড়া ঐসব দোকানে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার রাখার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ দোকান মালিকরা তা রাখছেন না। আবার কয়েকটি দোকানে এ গ্যাস সিলিন্ডার থাকলেও তা বেশিরভাগই মেয়াদ উত্তীর্ণ।

অথচ নিয়ম অনুযায়ী এলপি গ্যাস ব্যবহার, বিপণন ও বাজার জাত করতে হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ীকে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার বাধ্যতামূলক সংরক্ষণ করার কথা। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের প্রায় ব্যবসায়ীরা এলপি গ্যাস বিক্রির কোন বৈধ লাইসেন্স নেই। আইনের তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীরা দোকানে ও গুদামে গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এছাড়া ব্যবসায়ীরা দোকানের সামনের ফুটপাত, জনাকীর্ণ এলাকায় যত্রতত্র দাহ্য পদার্থ পেট্রোল ও গ্যাস সিলিন্ডার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে বিক্রি করছেন। পরিবেশবীদদের মতে, যত্রতত্র অবাধে পেট্রোল ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে মানুষ মারা যেতে পারে।

এ ব্যাপারে রাণীশংকৈলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী আফরিদা বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: