ঢাকা, কক্সবাজার ও পাবনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৫

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৫১ এএম

ঢাকা, পাবনা ও কক্সবাজারে কথিত বন্দুকযুদ্ধে র‌্যাবের গুলিতে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢাকার রায়ের বাজার এলাকায় নিহত দুজন ‘ডাকাত’ কক্সবাজারের উখিয়ায় নিহত দুজন ‘মাদক চোরাকারবারি’ আর পাবনায় নিহত একজন ‘চরমপন্থী সংগঠন নকশাল গ্রুপের নেতা’ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

র‌্যাব সদরদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার ভোরে রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পেছনে র‌্যাব-২ এর টহল দলের সঙ্গে ‘ডাকাত দলের’ গোলাগুলিতে অজ্ঞাতপরিচয় দুজন নিহত হয়।

ডাকাত দলের সদস্যরা বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পেছনে অবস্থান করছিল। র‌্যাবের টহল দল সেখানে গেলে তারা গুলি ছোড়ে। র‌্যাব তখন পাল্টা গুলি চালালে দুজন আহত হয়।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে র‌্যাব কর্মকর্তা মিজানুর জানান।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি পিস্তল, গুলি, ছুরি, চাপাতি ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এদিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আরও দুজন নিহত হয়েছেন। র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. মেহেদী হাসান বলছেন, ভোর রাতে শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কের মরিচ্যা বাজার এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের কথাও র‌্যাব কর্মকর্তারা বলেছেন। নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকার আব্দুস সামাদ (২৭) এবং যশোরের অভয়নগর এলাকার মো. আবু হানিফ (৩০)।

তারা দুজনেই ‘চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী’ এবং তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের একাধিক মামলা রয়েছে বলে মেজর মেহেদী হাসানের ভাষ্য।

তিনি বলেন, মরিচ্যা বাজার এলাকায় র‌্যাবের অস্থায়ী চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছিল। এ সময় টেকনাফের দিক থেকে আসা একটি ট্রাক চেকপোস্টে না থেমে র‌্যাব সদস্যদের দিকে গুলি করে পালানোর চেষ্টা করে। র‌্যাব সদস্যরাও তখন আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। তাতে ট্রাকে থাকা দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

পরে ওই ট্রাকে তল্লাশি করে ১ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশে তৈরি বন্দুক, আট রাউন্ড গুলি পাওয়া যায় বলে মেজর মেহেদী জানান।

তিনি জানান, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার কৈজুরী গ্রামে রাত দেড়টার দিকে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম কুরবান আলী (৩০)। তিনি আটঘরিয়া উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের কিয়াম উদ্দিনের ছেলে। কুরবান আলী চরমপন্থী সংগঠন নকশাল গ্রুপের নেতা বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের কৈজুরী গ্রামের শশ্মানের পাশে একদল দুষ্কৃতিকারী গোপন বৈঠক করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযানে যায় আতাইকুলা থানা পুলিশ। গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে।

প্রায় ৩০ মিনিট গোলাগুলির এক পর্যায়ে পিছু হটে সন্ত্রাসীরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে কুরবান আলী নামের একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি মাসুদ রানা আরো জানান, এ ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন এএসআই মন্টু হোসেন, ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুর রউফ ও শাহিন আলী। ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, ৪ রাউন্ড গুলি, ২টি কার্তুজের খোসা, ইয়াবা ২০ পিস ও একটি ডায়াং মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: