মাদ্রাসায় শিক্ষকের স্ত্রী ও ছাত্রের গলাকাটা লাশ!

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩২ এএম

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দনা এলাকায় একটি মাদ্রাসা থেকে শিক্ষকের স্ত্রী ও এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে হুফফাজুল কোরআন নামে ওই মাদ্রাসার ভেতর থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- মাহমুদা আক্তার স্মৃতি ও সাত বছর বয়সী শিক্ষার্থী মামুন।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তার হোসেন জানান, ভোরে ফজর নামাজের সময় মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে যায় পরিচালক ইব্রাহিম খলিল। এ সময় কে বা কারা মাদ্রাসায় ঢুকে পরিচালকের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার ও নুরানী ক্লাসের ছাত্র মামুনকে খুন করে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একটি দল। সিআইডির দলটি হত্যার আলামত সংগ্রহ ও মাদ্রাসা পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

ওসি মুক্তার হোসেন আরও জানান, ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী মাহমুদার গলা, গাল ও কানে এবং মামুনের ঘাড়, মাথা ও পিঠে ধারোলো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘরের ভেতর থেকে রক্তমাখা একটি দা ও দা ধার দেয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের খণ্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি বলেন, প্রায় দুবছর ধরে ইব্রাহিম ওই কোরআন হেফজের মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন। মাদ্রাসার একটি কক্ষেই সপরিবারে বাস করেন তিনি। তিনি নিজেও ছাত্রদের কোরআন শিক্ষা দেন।

ইব্রাহিম জানান, মঙ্গলবার ভোরে স্ত্রী মাহমুদা এবং তার দুই সন্তান হুযায়ফা (৫) ও আবু হুরায়রাকে (৩) বসতঘরে রেখে তিনি পাশের মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। নামাজ শেষে ঘরে ফিরে বিছানার ওপর স্ত্রী মাহমুদা এবং দরজার কাছে মামুনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ বিষয়ে তিনি আর কিছুই জানেন না।

এদিকে বাসন থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এসআই আল আমিন মাদ্রাসার ছাত্র সাব্বিরের বরাত দিয়ে জানান, সোমবার রাতে হুজুরকে (ইব্রাহিমকে) উদ্ধার হওয়া দা-টি ধার দিতে দেখেছেন। আর মঙ্গলবার ভোরে ফজরের নামাজে যাওয়ার আগে সাব্বিরকে দিয়ে নিহত মামুনকে মাদ্রাসার অন্য কক্ষ থেকে হুজরের কক্ষে ডাকার জন্য পাঠানো হয়।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: