মোটরসাইকেল চালক ও সমিতির নেতাদের সঙ্গে সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৭:০০ এএম

বান্দরবানের লামায় যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল লাইনে (লামা-রুপসীপাড়া) ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করায় মোটরসাইকেল চালক ও সমিতির নেতাদের সাথে কয়েকদফা সংঘর্ষ হয়। এতে সমিতির নেতাদের মারধরে আহত হয়ে তিনজন মোটর সাইকেল চালক লামা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

আহতরা হলেন, রুপসীপাড়া বাজার এলাকার সাত্তার ফরাজীর ছেলে মো. এনামুল হক (৩৫), মো. আবু জাফরের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (২৩) ও রুপসীপাড়া পাড়ার বাজারস্থ গাজী পাড়ার সাইফুল পিসির ছেলে মো. রাসেল (৩৮)।

আহত মো. এনামুল হক বলেন, লামা বাজার হতে রুপসীপাড়া বাজার পর্যন্ত মোটরসাইকেল লাইনে কমিটির লোকজন ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে। মঙ্গলবার দুপুরে কমিটির লোকজন আমার কাছে চাঁদা চাইলে আমি দিতে অপারগতা জানালে তারা মারধর করতে তেড়ে আসে। আমার পক্ষে আরো কয়েকজন চালক কথা বলে। পরে মোটরসাইকেল সমিতি সভাপতি মো. সাঈদ, নেতা মাহমুদুল হক, হারুন অর রশিদ, সাহাবুদ্দিন সহ ১৫/২০ জন লাঠি সোটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। তারা নিরিহ বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল ড্রাইভারকে মারধর করে। গুরুতর আহত তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়।

আহত মাসুম বিল্লাহ বলেন, একটি নতুন গাড়ি লাইনে আসলে কমিটিকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। এছাড়া মাসিক চাঁদা ১০০ টাকা, দৈনিক চাঁদা ২০ টাকা ও লাইনে থাকা গাড়িটি মালিক পরিবর্তন হলে আবারও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। এর কোন হিসাব তারা সদস্যদের ও সংগঠনের কাউকে দেয়না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার প্রাণে মেরে ফেলার ও মারধরের হুমকি দেয়া হয়।

নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে একজন মোটরসাইকেল চালক বলেন, একজন নেতা আহতদের হাসপাতালে দেখতে এসে নিরিহ এক ড্রাইভারকে থাপ্পর দিয়েছে।
আরেক চালক আলী হোছন বলেন, আমি চাঁদা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে কমিটির লোকজন আমাকে মারতে চায়। তাদের পিছনে রাজনৈতিক নেতারা থাকায় প্রশাসন তাদের কিছু বলে না।

এই বিষয়ে কমিটির কয়েকজনের মোবাইলে ফোন করলে তাদের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মারধরের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, কোন পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: