প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরের অধিকাংশ গাড়ি বিক্রি করার ঘোষণা

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৪৯ এএম

প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর থেকেই তার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে আলোচিত-সমালোচিত তিনি। দেশের ঋণ সংকট মোকাবেলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরের অধিকাংশ গাড়ি বিক্রি করে দেয়ার ঘোষণা দেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

সরকার এ ধরনের আরও নিলাম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু ধুমধাম করে সেগুলো নিলামে তুললেও কাক্সিক্ষত সাড়া পাননি তিনি।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের লনে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের ঋণ সংকট মোকাবেলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরের অধিকাংশ গাড়ি বিক্রি করার নিলাম নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা হলেও বিক্রি আশানুরূপ ছিল না। উল্টো ক্রেতাদের হাসির খোরাক হতে হয়েছে।

নিলাম থেকে অন্তত এক কোটি ৬০ লাখ ডলার আয়ের আশা করলেও গাড়ি বিক্রি থেকে সরকারের কোষাগারে ঢুকেছে মাত্র ৬ লাখ ডলার।

এ নিলামে ক্রেতাদের বেশি আগ্রহ ছিল চারটি সরকারি হেলিকপ্টার নিয়ে। ‘কৃচ্ছ তার পথে’ নিলামে অংশ নেয়া ক্রেতাদের চোখ ছিল বুলেট-প্রুফ জিপ ও হেলিকপ্টারে। কিন্তু পরে এ হেলিকপ্টারগুলোর নিলাম চলতি মাসের শেষের দিকে হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

এদিকে শতাধিক গাড়ির অর্ধেকেরও বেশি ‘বিলাসবহুল’ ক্যাটাগরি গাড়ি বিক্রির জন্য রাখা হয়েছিল। মাত্র ৬২টি গাড়ি নিয়ে নিলামে দর কষাকষি হয় হয়। যার মধ্যে আগ্রহের চূড়ায় ছিল ২০১৬ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের আমলে কেনা দুটি মার্সিডিজ মায়বাস এস-৬০০।

প্রত্যেকটি গাড়ির প্রাথমিক দর হিসেবে ১৩ লাখ ডলার চাওয়া হলে নিলামে আশা উপস্থিত প্রায় ৫ শতাধিক ক্রেতা সশব্দে হেসে ওঠে। কেউই একটি গাড়ি নেয়নি।

নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি গাড়িটি হল বুলেট-প্রুফ ২০১৫ টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, এটি প্রায় দুই লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু সাতটি বিএমডব্লিউর পাশাপাশি অবিক্রীত থাকে ১৯৯৩ সালের ১৪টি মার্সিডিজ বেঞ্জ এস-৩০০।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে সমালোচকরা বলছেন, সরকারি গাড়ি নিলামের চল নতুন নয়, এটা সবসময়ই হয়, ইমরানের তেহরিক-ই ইনসাফ সরকার তাদের ‘কৃচ্ছ তা’র কর্মসূচির প্রচারে একে বাড়িয়ে দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: