‘কালো আইন থেকেও নিকৃষ্ট এ আইন’

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:৫১ পিএম

সংসদে সদ্য পাশ হওয়া বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কালো আইন থেকেও নিকৃষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, সবশেষ যে আইনটি পাশ হয়েছে সেটা কালো আইন বললেও ভুল হবে। আইনটি খুবই নিকৃষ্ট আইন। সাংবাদিক এবং বোদ্ধা জনগণের গলা টিপে ধরা হয়েছে এ আইনের মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে বেসরকারি যমুনা টেলিভিশনের টকশোতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান এবং ব্রিটিশরা এ দেশ শোষণ করার জন্য যে আইন ব্যবহার করতো। সে আইন এখন স্বাধীন দেশে পাশ করা হয়েছে। এ আইন সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থি। কারণ সংবিধান আমার বাক এবং লেখার স্বাধীনতা দিয়েছে। যেটা এ আইন কেড়ে নিয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, সরকারকেই বিপদে ফেলবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই আইন সরকারকে স্বৈরাতন্ত্র ও নিমর্মতার দিকে ঠেলে দিবে। সরকার যে গণতান্ত্রিক দাবি করছে তার ছিটে ফোটা অবস্থানও থাকবে না। এই আইনের মাধ্যমে পুলিশ যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে। এ আইন পাশের মাধ্যমে এই পার্লামেন্ট মানুষের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।’

বর্তমান সংসদের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যে পার্লামেন্টে সরকারের ক্রটি তুলে ধরার কোন সুযোগ থাকে না। শুধুই সরকারকে সমর্থন করতে হয়, সেই পার্লামেন্টকে আর যাই হোক না কেন সার্থক পার্লামেন্ট বলা যায় না।’

টকশোতে সাপ্তাহিকের সম্পাদক গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘সমালোচিত ৫৭ ধারাকে ৪টি ধারায় নিয়ে আসা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। এই আইনটি ৫৭ ধারা থেকে আরও ভীতিকর।

তিনি বলেন, ‘গুজব মোকাবেলায় একমাত্র সমাধান হলো স্বাধীন গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। এগুলোর স্বাধীনতা না থাকলে গুজব ছড়াবেই। গুজব হলো নতুন সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে নতুন চিন্তা ও গবেষণার প্রয়োজন। নতুন সমস্যাকে মোকাবেলা করতে আপনি যদি ১৯২৩ সালে ফিরে যেতে চান তাহলে তো হবে না। ২০১৮ সালে ১৯২৩ সালের চিন্তা না করে চিন্তা করতে হবে ২০২০ বা ২০১৪ সাল নিয়ে।’

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: