বিএনপিকে যে বার্তা দিল জাতীয় ঐক্যের নেতারা

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:০৭ এএম

তৃতীয় শক্তি হওয়ার ঘোষণা দিয়ে গঠন করা তিন সংগঠনের জোট যুক্তফ্রন্ট বিএনপিকে সুস্পষ্ট বার্তা জানিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী সব দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পর্ক ছাড়তে হবে। তাহলেই হতে পারে ঐক্য।

শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বারিধারার বাসভবনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং মওদুদ আহমদ দেখা করতে গেলে এমন বার্তা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে বি. চৌধুরীর ছেলে মাহী বি চৌধুরী বলেন, ‘ওনারা এসেছিলেন। জাতীয় ঐক্যের ক্ষেত্রে আমাদের যে অবস্থান সেটা জানিয়েছি। বলেছি, স্বাধীনতাবিরোধীদের কেউ যদি বিএনপির সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে থাকে, তাহলে বিএনপির সঙ্গে আমরা যাব না ঐক্যে। এটা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি।’

তবে বিষয়টিতে বিএনপি কী বলেছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তারা বলেছেন, তারা আলাপ-আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারবেন। আজকে মিটিং শেষ। আমরা আবার বসব।’

বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতসহ ২০-দলীয় জোটের বাইরে নতুন ঐক্য গড়তে চায়। একে জাতীয় ঐক্য বলছে তারা। আর এই ঐক্যের জন্য বিএনপির আগ্রহ কামাল হোসেনের গণফোরাম ও যুক্তফ্রন্ট।

তবে যুক্তফ্রন্টের দাবি অনুযায়ী কতটা আগ্রহী হবে বিএনপি সেটাই দেখার বিষয়। কেননা যুক্তফ্রন্ট যে দাবি করছে, তা বিএনপির পক্ষে মানা কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ, তারা ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫০টি, দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রিত্ব এবং বিএনপিকে দেড় যুগের মিত্র জামায়াত ছাড়ার দাবি করছে।

এদিকে ভোটের রাজনীতিতে গণফোরাম আর যুক্তফ্রন্টের অবস্থান তলানিতে হলেও বিএনপি ওই নেতাদের ব্যক্তিগত পরিচিতি ব্যবহার করতে আগ্রহী। আর এই ঐক্য গড়তে ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত্র নিয়ে রেখেছে বিএনপি।

তবে যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের জনগণের মধ্যে আদৌ কোনো অবস্থান আছে কি না, এ নিয়ে সন্দেহ থাকলেও জামায়াতের চার থেকে পাঁচ শতাংশ ভোট বিএনপির জন্য নির্বাচনে বেশ কাজে লাগে। আর তাই এদের বাদ দিয়ে বিএনপি ঐক্য গড়তে রাজি কি না, সেটি নিয়েও আছে প্রশ্ন।

তবে বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করবে কি না-সেটি নিয়ে তারা খোলাখুলি কিছু বলছে না। বৈঠকে উপস্থিত খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ‘ব্যস্ত আছি’ বলে আর কথা আগাননি।

বিষয়টি নিয়ে মওদুদ আহমদের ফোনে যোগাযোগ করলে তার ব্যক্তিগত সহকারী বলেন, ‘স্যারকে কাল ফোন দিলে ভালো হয়।’

আর মোবাইল ফোন কেউ না ধরায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বিষটি নিয়ে মাহী বি চৌধুরী জানান, তার বাবা বি. চৌধুরী জাতীয় ঐক্যের সমাবেশে যোগ দেবেন। বলেন, ‘কাল প্রোগ্রামে আমরা আমন্ত্রণ পেয়েছি, যাব।’

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: