মোবাইল চুরির অভিযোগে দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৭:৪২ পিএম

মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরের নিউমার্কেট এলাকার একটি বহুতল ভবনের ছাদে দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছেন আট ব্যক্তি। রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে জলসা মার্কেটের নবম তলার ছাদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটজনের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলার পর জাহাঙ্গীর আলম (২৪), ফারুক (২৭), আব্দুল আউয়াল ওরফে ডালিম (৩০), কবির (২৭), বাবলু (২৮) ও সেলিমকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়।

তবে পলাতক রয়েছে মামলার অপর দুই আসামী রুবেল (২৫) ও এনাম (২৭)।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দুই কিশোরীর একজন আগে জলসা মার্কেটের একটি দোকানে চাকরি করত। সেখানকার পঞ্চম তলায় রাশেদ নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন জয়ন্তী বোরকা হাউজে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে জানতে পেরে রোববার এক বান্ধবীকে (১৬) সঙ্গে নিয়ে ওই কিশোরী (১৭) সেখানে যায়।

ফেরার সময় রাশেদের দোকানের কর্মচারী ডালিম ও সেলিম নামে আরেক দোকানি মোবাইল ফোন চুরির জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে ওই দুই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায়। প্রথমে রাশেদের দোকানে এবং পরে সেলিমের দোকানে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা।

কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান জানান, সালিশের কথা বলে দুই কিশোরীকে জলসা মার্কেটের নবম তলার ছাদে নিয়ে গিয়ে তাদের ধর্ষণ করে আসামিরা।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, দুই কিশোরীর একজনের মা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে আট জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে রুবেল ও এনাম নামে দুই জনকে খোঁজা হচ্ছে। বাকি সবাই ধরা পড়েছে।

দুই কিশোরির ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কথা বলে চলে আসার সময় রাশেদের দোকানের এক মেয়ের মোবাইল হারিয়ে গেছে বলে ডালিম ও সেলিম নামের দুইজন তাদেরকে আটকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রথমে রাশেদের রুমে বসিয়ে মোবাইল চুরি করেছে কিনা জানতে চাওয়া হয়। এরপর সেলিমের দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিচারের কথা বলে দুই কিশোরীকে জলসা মার্কেটের ৯ম তলার ছাদে নিয়ে যায় তারা। সেখানে আটজনই পালাক্রমে দুই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পালাক্রমে ধর্ষণে রক্তাক্ত হওয়ার পর তারা দুই কিশোরীকে মুমূর্ষ অবস্থায় ছাদে রেখে যায়।

এদিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার দীর্ঘক্ষণ পরও ঘরে না ফেরায় ১৭ বছরের ওই তরুণীর মা রাত সাড়ে ১০টার দিকে জলসা মার্কেটে যান। সেখানে সমিতির লোকজনদের বলার পর খোঁজাখুঁজি করে মার্কেটের ছাদে গিয়ে তার মেয়ে ও মেয়ের বান্ধবীর খোঁজ পান। এ সময় তারা অসুস্থ অবস্থায় সেখানে পড়ে ছিল।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: