শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতালে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট চালু হচ্ছে

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:৩৩ পিএম

গোপালগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতালে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট চালু হচ্ছে। এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান সার্জনসের ( বিসিপিএস) উচ্চ পর্যায়ের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।

হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে প্রতিনিধি দলের সদস্য প্রফেসর ডা. আবদুল কাদের, প্রফেসর ডা. জালাল আহমেদ, প্রফেসর ডা. জাফর খালেদ, প্রফেসর ডা. দেবাশীষ পাড়ে, প্রফেসর ডা. মো. কামাল হোসেনকে হাসপতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সাইফুদ্দিন অহেমেদ প্রজেক্টরের মাধ্যমে হাসপতালে বিদ্যমান সুবিধা সমূহ অবহিত করেন। পরে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হসপাতালের অবকাঠামেসহ বিভিন্ন বিভাগগুলো পরিদর্শন করেন।

প্রতিনিধি দলের সদস্য প্রফেসর ডা. আবদুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নামের এ প্রতিষ্ঠানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের অনেক জেলার হাজার হাজার রোগী প্রতিদিন চোখের বিভিন্ন রোগের সেবা পাচ্ছেন। হাসপাতালে প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট চালু হলে চিকিৎসকরা এখানে অবস্থান করে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করবেন। পাশাপাশি তারা রোগীদের চোখের বিভিন্ন রোগের সেবা দেবেন। এতে হাসপাতালের সেবার মান আরো বৃদ্ধি পবে। আরো বেশি রোগী এখান থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেয়ে উপকৃত হবেন।

প্রতিনিধি দলের অপর সদস্য প্রফেসর ডা. জাফর খালেদ বলেন, গোপালগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতালে প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করেছি। বিদ্যমান অবকাঠামোসহ সব বিভাগ পরিদর্শন করেছি। এখানে প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট চালু করার প্রায় সব সুযোগ সুবিধাই রয়েছে। আশা করছি দ্রুত এটি চালু হবে।

গোপালগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ পিন্টু বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত মাসে এ হাসপতালে ৮ জেলার ২০ উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার চালু করেছেন। ভিশন সেন্টারে বসেই রোগীরা অনলাইনে চিকিৎসা পাচ্ছেন। এছাড়া গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার রোগী বিনামূল্যে হাসপাতাল থেকে চক্ষু রোগের চিকিৎসা পাচ্ছেন। এখানে চোখের অাধুনিক সব চিকিৎসা করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট চালু হলে আরো বেশি রোগীকে সেবা দেওয়া যাবে। প্রধামন্ত্রীর উদ্দেশ্য সফল হবে।

দুপুরে প্রতিনিধি দলের সদস্য ৫ প্রফেসর টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করেন। এ সময় গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপতালের পদস্থ কর্মকর্তা, চিকিসক ও নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: