ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, গ্রেফতার ৫

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৫৯ পিএম

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার থানার কালাম গাজীর ছেলে কাওছার গাজী, চাঁদপুরের মতলব থানার মো: জাকির হোসেনের ছেলে সোহেল মিয়া, মাদারীপুরের কালকিনি থানার হাছানুর রশীদের ছেলে তারিকুল ইসলাম শোভন, নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার আলমের ছেলে রুবাইয়াত তানভীর আদিত্য ও টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার আনসার আলীর ছেলে মাসউদুর রহমান ইমন।

পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রশ্ন ফাঁসকারী প্রতারণা চক্রের প্রধান কাওছার গাজীকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, বর্তমানে প্রশ্নফাঁস করার কোন সুযোগ পায়নি। প্রশ্নফাঁস করতে না পেরে নিজেদের ইচ্ছে মতো প্রশ্ন তৈরি করে। এরপর বিভিন্ন ফেক ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালায় তারা। এতে তারা সফলও হয়েছিলেন। এ ভুয়া প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রিও করে তারা। কাওছারকে এ কাজে সহযোগিতা করত তার নিজ বন্ধু সোহেল মিয়া। সে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভুয়া বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে টাকা লেনদেন করত।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সিআইডিকে আরও জানান, তারা এ কাজের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত কিন্তু এবার প্রশাসনের তৎপরতায় তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসে ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ হওয়ার পর ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে ১০টিরও বেশি ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মেডিকেলের প্রশ্ন পাওয়ার প্রচারণা চালায়। তারা ফেক প্রশ্নপত্র তৈরি করতে বিভিন্ন সাজেশন বই, বিগত বছরগুলোর প্রশ্নপত্র একত্রে করে একটি ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে।

সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিম বুধবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর কাজলা পার, দনিয়া ও যাত্রাবাড়ীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুটি মোবাইল ও একটি বিকাশ রেজিস্ট্রার খাতাসহ দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে, রাত ৯টার দিকে বাড্ডার আলিফ নগর এলাকা থেকে ৩ জনকে তিনটি মোবাইল ও দুটি ল্যাপটপসহ গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে, সেটি এখন তদন্তধীন। আশা করি এ প্রতারক চক্রের বাকী সদস্যদেরও আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।

বিডি২৪লাইভ/এএফকে/এমআর
 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: