যে শিশুর ছবি কাঁদাচ্ছে সবাইকে

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৫২ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালের ছাদ থেকে নবজাতককে নিয়ে লাফ দিয়ে সীমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।

শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সকালের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুরাতন জেল রোড এলাকার দ্য ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালে হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা যায়, নিহত গৃহবধূ সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ফুলচং গ্রামের মনির মিয়ার স্ত্রী। লেবানন প্রবাসী মনিরের সঙ্গে পারিবারিকভাবে গত এক বছর আগে তার বিয়ে হয়। তার শিশু সন্তানটির বয়স মাত্র ৪ দিন।

অথচ সন্তানের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো মায়ের কোল। কিন্তু, সেই মা-ই যখন সন্তানের মৃত্যুর কারণ হয় তখন? 

সূত্রে খবর অনুযায়ী, নিজের সন্তানকে পাঁচতলা বিশিষ্ট ওই হাসপাতাল ভবনের ছাদ থেকে ছুঁড়ে ফেলে হত্যা করেছে শিশুটির মা সীমা আক্তার। একইসঙ্গে তিনি নিজেও ওই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর ওপর অভিমান এ ঘটনা ঘটিয়েছেন সীমা।

এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সীমার শিশু সন্তানের একটি ছবি ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ওই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে- হাসপাতালের সামনের সড়কে পড়ে আছে শিশুটির নিথর দেহ। প্রাণহীন ওই শিশুর দেহ ঘিরে উৎসুক জনতা। হৃদয়বিদারক ওই ছবি দাগ কেটেছে সবার মনে। ছবিটি যেন কাঁদাচ্ছে গোটা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে। অনেকেই শিশুটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে আবেগাপ্লুত হচ্ছেন।

তবে পারিবারিক সূত্রে জানায়, হাসপাতালের বিল পরিশোধের বিষয়টি নিয়ে সীমা মানসিক চাপে ছিলেন। এ কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

মা-সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়নি।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেলিম হোসেন জানান, হাসপাতালের বিল নিয়ে অথবা অন্য যেকোন কারণেই হোক আত্মহত্যার ঘটনা তদন্ত করা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার প্রসব বেদনা নিয়ে ল্যাব এইড হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী লাইফ কেয়ার শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন সীমা আক্তার। এদিন রাতেই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ছেলে সন্তান প্রসব করেন তিনি। গত শুক্রবার সকালে সীমা ও তার সন্তানের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: