আইয়ুব বাচ্চুর নামে হবে সড়ক, জাদুঘরে কর্ণার

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৫৪ পিএম

যে ঘুমন্ত শহরকে জাগাবেন বলে একদিন রুপালি গিটার হাতে অলিগলিতে ঘুরে বেরিয়েছেন, সেই শহরে আজ চিরদিনের মতো ঘুমিয়ে গেলেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে তাকে।

শনিবার (২০ অক্টোবর) মাগরিবের নামাজের আগে চট্টগ্রাম নগরের এনায়েত বাজারের চৈতন্যগলি বাইশমহল্লা কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। মায়ের পাশে দাফনের বিষয়টি ছিল আইয়ুব বাচ্চুর অন্তিম ইচ্ছা।

এর আগে চট্টগ্রামের বায়তুল ফালাহ মসজিদের ময়দানে আইয়ুব বাচ্চুর চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকেই তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় কবরস্থানে। দাফনের সময় তার বাবা মোহাম্মদ ইছহাক, মামা আব্দুল হালিম লোহানী ও ছেলে আহনাফ তাজওয়ার আইয়ুবসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কিংবদন্তি এ ব্যান্ডতারকার নামে তার জন্মস্থান চট্টগ্রামে হবে সড়ক ও মুসলিম হলের নামকরণ। এ ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরে হবে আইয়ুব বাচ্চু কর্ণার। সেখানে থাকবে আইয়ুব বাচ্চুর ব্যবহৃত ৬০টি গিটার ও তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি সম্ভার।

এ কর্ণারের মাধ্যমে বাচ্চুকে তরুণ প্রজন্মের কাছে সুন্দর ও নান্দনিকভাবে উপস্থাপনার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। 

শনিবার (২০ অক্টোবর) আইয়ুব বাচ্চুর লাশ তার মামার হাতে হস্তান্তর করে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেয়র বলেন, প্রয়াত ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর জন্য একটি সড়কের ও মুসলিম হলের নামকরণসহ যা যা করার দরকার সব নিজ উদ্যোগে করব। আইয়ুব বাচ্চুর সংগ্রহে ছিল ৬৭টি গিটার। এর মধ্যে ৬০টি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দেয়ার ইচ্ছা ছিল বাচ্চুর।

বছর দেড়েক আগে তিনি তার ছোট মামা আবদুল আলীমকে বলেছিলেন তার ৬০টি গিটার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে দিয়ে দিবেন। যাতে সেগুলো গিটারপ্রেমী শিক্ষার্থীরা পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়।

জীবন চলার পথে গিটারই ছিল আইয়ুব বাচ্চুর ধ্যান-জ্ঞান। যখনই তিনি দেশের বাইওে যেতেন গিটার কিনতেন। এসব গিটার মাঝে একবার তিনি নিলামে তুলেছিলেন। কিন্তু আবার সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: