শেভরন বাংলাদেশের ৫ কর্মকর্তাকে লিগ্যাল নোটিশ
নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের শ্রমিক সরবরাহ লেবার টেন্ডার সিডিউলে অনিয়ম ও লাইসেন্স জালিয়াতির অভিযোগে বিবিয়ানা গ্যাস প্লান্টের দায়িত্বে নিয়োজিত শেভরন বাংলাদেশের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বুধবার (২৪ অক্টোবর) সকালে হবিগঞ্জ জজকোর্টে থেকে লিগ্যাল নোটিশ করা হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন শেভরন বাংলাদেশের বর্তমান লেবার সবরবাহকারী প্রতিষ্ঠান রহমান ট্রেডার্স এর পক্ষে হবিগঞ্জ জজ কোর্টের বিজ্ঞ আইনজিবি আবু বকর সিদ্দিক। উক্ত লিগ্যাল নোটিশ নিয়ে বিবিয়ানা এলাকায় তোলপাড় হচ্ছে। সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানো না হলে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে জানা যায়, গত ২২ জুলাই শেভরন বাংলাদেশ এর কন্ট্রাক্ট এডমিনিস্ট্রেটর মো. গোলাম তামজিদ এক মেইল বার্তায় বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের ৪টি প্যাডের লেবার সার্ভিস (শ্রমিক সরবরাহ) দরপত্র আহবান করেন। উক্ত দরপত্রে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের ২২ জন ভেন্ডর ঠিকাদারকে আহবান জানানো হয়। উক্ত দরপত্রে প্রধান শর্ত দেওয়া হয় প্রত্যেক ভেন্ডর বা ঠিকাদারকে দরপত্র জমাদানের সময় তাদের ঠিকাদারী শ্রমিক সরবরাহ অফারের সাথে বাংলাদেশ কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (উওঋঊ) আউট সোর্সিং লাইসেন্সের কপি সাথে জমাদান করতে হবে। অন্যতায় দরপত্র বাতিল বলে গন্য হবে।
বিষয়টি গত ২৫ জুলাই শেভরন বাংলাদেশের সব ভেন্ডরদের এক মিটিংয়ে কন্ট্রাক্ট ডিপার্টমেন্ট ও কমিউনিটি রিলেশন অফিসারগণ ঠিকাদারদের অবগত করেন। মিটিংয়ে পুনরায় উল্লেখ করা হয় আউট সোর্সিং লাইসেন্সের কপি জমাদান না করিলে দরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু গত ২৭ আগষ্ট দরপত্র জমাদানের সময় কিছু সংখ্যক ঠিকাদার অসাধু উপায়ে অন্যের আউট সোর্সিং লাইসেন্স কম্পিউটারে স্ক্যান করে নিজের নাম ও প্রতিষ্ঠানের নাম লিখে নকল লাইসেন্স বানিয়ে দরপত্র জমা দেন। পরবর্তীতে ঐ ভুয়া লাইসেন্স জমাদানকারীদের শেভরন বাংলাদেশ বিজয়ী ঘোষণা করলে এখানে বিপত্তি বাধে। বিষয়টি শেভরন বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ই-মেইলের মাধ্যমে অবগত করা হয়। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোন সঠিক উত্তর না পেয়ে লেবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রহমান ট্রেডার্স উক্ত দরপত্র কোটেশন বাতিলের দাবি জানিয়ে হবিগঞ্জ জজকোর্ট থেকে শেভরন বাংলাদেশের ৫ কর্মকর্তাকে বিবাদী করে সাত দিনের সময় দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
যাদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন, শেভরন বাংলাদেশের কন্ট্রাক্ট এডমিনিস্ট্রেটর মো. গোলাম তামজিদ ও মো. আক্তারুজ্জামান, কান্ট্রি ডিরেক্টর পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্ট প্রধান ওবায়দুল্লাহ আল এজাজ, বিবিয়ানা গ্যাস প্লান্ট সুপারিন্টেডেন্ট ও বিবিয়ানা গ্যাস প্লান্টের পাবলিক রিলেশন অফিসার ইমাম হাসানকে বিবাদী করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মেসার্স রহমান ট্রেডার্সের পরিচালক আমিনুর রহমান স্বপন বলেন, আমি সহ আমার সহকর্মী ঠিকাদারগণ বার বার শেভরন বাংলাদেশকে ই-মেইলের মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানালেও এখন পর্যন্ত তারা কোন উত্তর দেননি। তাই আমরা চরম উদ্বিগ্ন ও সংশয়ের মধ্যে রয়েছি। আমরা উক্ত লেবার সার্ভিসের কোন অনিয়ম জালিয়াতির কোন সু-উত্তর না পেয়ে বাধ্য হয়ে কোর্টের আশ্রয় নিয়েছি। সাত দিনের ভিতরে এর জবাব না দেওয়া হলে আমরা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশনের প্রস্তুতি নিয়েছি।
এ ব্যাপারে শেভরন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ) পাবলিক রিলেশন প্রধান ওবায়দুল্লাহ আল এজাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি দেশের বাহিরে রয়েছি বিষয়টি জেনেছি এখনো লিগ্যাল নোটিশ পাইনি।
এ ব্যাপারে বিবিয়ানা গ্যাস প্লান্টের পাবলিক রিলেশন অফিসার ইমাম হাসান বলেন, আমরা এখনো লিগ্যাল নোটিশ পাইনি, উক্ত লিগ্যাল নোটিশ পাইলে আইন মোতাবেক জবাব দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে শেভরন বাংলাদেশের কন্ট্রাক্ট এডমিনিস্ট্রেটর মো. গোলাম তামজিদ এর সাথে বার বার সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাকে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোন জবাব দেননি।
এ ব্যাপারে লিগ্যাল নোটিশ প্রদানকারী আইনজীবী আবু বকর সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার মুয়াক্কেলের সাথে শেভরন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা সু-বিচার করেননি তাই লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তারা অচিরেই এই জালিয়াতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে উক্ত লেবার কোটেশন বাতিল করে নতুন দরপত্র আহবান না করলে আমরা উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
বিডি২৪লাইভ/এমকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: