‘শিক্ষা আইন হলে কোচিং পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব’ 

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৪৪ পিএম

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ‘শিক্ষা আইন’ বিষয় নিয়ে বলেছেন, আমরা তাড়াহুড়ো করে আইনটি কেবিনেটে তুলতে চাইনি। অংশীজনের সঙ্গে আরও আলোচনার বিষয় রয়েছে। পরবর্তী সরকারের সময় আইনটি চূড়ান্ত হবে।

রবিবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিয়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ভর্তি বাণিজ্য বন্ধে আইনের প্রয়োগ প্রয়োজন। আমাদের কোচিং বন্ধে নিজেদের কোন ব্যবস্থা নেই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে হয়। আইন প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া অপরাধীরা কোর্টে গিয়ে ছাড়া পায়। শিক্ষা আইন হলে কোচিং পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে।’

কোচিং ছাড়াই মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্কুলে লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী করে তুলতে আমরা ১৫ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। শিক্ষার্থীরা যাতে কোচিংয়ে না যায় সে জন্য অভিভাবকদের উপলদ্ধি করতে হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী নতুন কমিটির সদস্যসহ সংগঠনের সব সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা সঠিক তথ্য তুলে ধরে আমাদের বরাবরই সহায়তা করেছেন। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে দেশ ও জাতির কল্যাণ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় সহযোগিতা গঠনমূলক সমালোচনা করেন। আমার রাজনৈতিক শিক্ষাই হচ্ছে সমালোচনা সহ্য করা। এই সমালোচনা আমরা সিরিয়াসলি নিয়ে সংশোধন করার চেষ্টা করি।’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ১৪ ডিসেম্বরের আগেই নতুন সব বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে। ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধেক বই প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে।

এবার প্রায় ৩৬ কোটি বই দেয়া হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে প্রায় সাড়ে তিনগুণ শিক্ষার্থী বেড়েছে। এ জন্য আমরা অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছি। স্কুল কলেজ ও মাদ্রসা মিলিয়ে ৩৩ হাজার ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘যোগ্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই এমপিও দেয়া হবে। তবে তা হবে পর্যায়ক্রমে। প্রতিবছরই নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে পদ্ধতিটা ভালো। মামলার কারণে সমস্যা হচ্ছে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’

উল্লেখ্য, প্রতি বছর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে প্রার্থীরা বসে থাকলে শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছেন সরকার। এই পরিস্থিতি সমাধানের আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী।

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: